কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাড়ছে মসলার দাম

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর বাজারে বাড়ছে রান্নার অন্যতম অনুষঙ্গ মসলার দাম। প্রতিবছরের মতো এবারো ঈদের আগেই মসলার দাম কৌশলে বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে ভোজ্য তেল, ডিম ও ব্রয়লার মুরগি বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদন বলছে, এক মাসের ব্যবধানে দেশি পিয়াজের দাম বেড়েছে ২১.৭৯ শতাংশ। মাসের ব্যবধানে কেজিতে দেশি রসুনের দাম বেড়েছে ৩.৫৭ শতাংশ, শুকনা মরিচ ৫.২৬ শতাংশ, হলুদ ৩.২৩ শতাংশ, দারুচিনি ৪.৯৪ শতাংশ, ধনেগুঁড়া ৪.১৭ শতাংশ দাম বেড়েছে।
টিসিবি’র প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, মাসের ব্যবধানে দেশি আদা কেজিতে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা বেড়েছে। লবঙ্গ কেজিতে ২৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি এলাচে দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা।

প্রতি কেজি তেজপাতা বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের দাম বেড়েছে ৩.৪৫ শতাংশ। প্রতি হালি (৪ পিস) ফার্মের ডিমের দাম বেড়েছে ৪.৩৫ শতাংশ, কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৩.৮৫ শতাংশ।
বাজারে প্রতি কেজি দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়, যা এক মাস আগে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি আমদানি করা পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, যা এক মাস আগে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯০ টাকা, যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ টাকা। মাসের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা। দেশি শুকনা মরিচ কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে আমদানি করা হলুদ ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি দেশি আদা ১৫ টাকা বেড়ে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা। মাসের ব্যবধানে কেজিতে ১৫০ টাকা বেড়ে এলাচ ২১৫০ ও লবঙ্গ কেজিতে ২৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। প্রতিকেজি তেজপাতা মাসের ব্যবধানে ৩ টাকা বেড়ে ১৮০ টাকা ও ধনেগুঁড়া কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মুদি বিক্রেতারা বলেন, পাইকারি বাজারে মাসের ব্যবধানে সব ধরনের মসলা পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। তবে বাজারে পণ্যের কোনো রকম সংকট নেই। সরবরাহও স্বাভাবিক। সামনে কোরবানির ঈদ। ক্রেতারা এখন থেকে মসলা কিনতে শুরু করেছেন। এ সুযোগে পাইকাররা দাম বাড়িয়েছে।
কাওরান বাজারের বিক্রেতা মতিন বলেন, বাজারে পণ্যের কোনো সংকট নেই। তবে আমদানি করতে বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এ কারণে দাম বাড়াতে হয়েছে।
অন্যদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। এরমধ্যে নতুন করে বোতলজাত এক লিটারের সয়াবিনের দাম বেড়েছে। বাজারে প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৭-৩৮ টাকা, যা সাতদিন আগে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগি বাড়তি দরে বিক্রি হয়েছে। এদিন প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ১২৫-১৩৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।
সপ্তাহ ব্যবধানে সবজির বাজারে দামের তেমন কোনো হেরফের হয়নি। বাজারে আগের মতো ফুলকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। মানভেদে শসার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পটোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এ ছাড়া বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পাকা টমেটো ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক কেজি কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর