লক্ষ্মীপুর-২ উপনির্বাচন: কেন্দ্র প্রতি ফোর্স থাকবে ১৯ জন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আসন্ন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্র প্রতি সর্বোচ্চ ফোর্স থাকবে ১৯ জন। বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত এই ফোর্স নিশ্চিত করবে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা।

সূত্রগুলো জানিয়েছে, সাধারণ কেন্দ্রে থাকবে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত থাকবে ১৮ থেকে ১৯ জন সদস্য। এদের মধ্যে পুলিশ আর অঙ্গীভূত আনসার সদস্যদের কাছে অস্ত্র থাকবে। তারা সার্বক্ষণিক ভোকেন্দ্রের নিরাপত্তা দেবেন। ভোটের দুদিন আগে থেকে পরের দিন পর্যন্ত মোট চারদিন তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটেলিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স ২০টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১০টি; র‌্যাবের ১০টি ও ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে নিয়োজিত থাকবে ১৯ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত। বিজিবির সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন, যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায়।

এছাড়া নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত রাখা হবে ২২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। যে কোনো অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচার কাজ সম্পন্ন করতে দায়িত্ব পালন করবেন দুজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ১৯ জুন থেকে ২২ জনু আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটরা ১৯ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কার্যপরিধিও নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বিজিবি/আর্মড পুলিশ

বিজিবি/আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন আনসার মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। রিটার্নিং অফিসার সহায়তা চাইলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ইভিএম এবং ইভিএম এর কারিগরি সহায়তায় নিয়োজিত/দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের চাহিদার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোটগণনা কক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে।

র‌্যাব

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। নির্বাচনী এলাকায় সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে। রিটার্নিং অফিসার সহায়তা চাইলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করবে, প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া ইভিএম এবং ইভিএম এর কারিগরি সহায়তায় নিয়োজিত/দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে রিটার্নিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোট গণনাকক্ষের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে।

পুলিশ

নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পুলিশ বাহিনীর। কেন্দ্রের অভ্যন্তরে শান্তি-শৃঙ্খলা বিধান হবে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রধান কাজ। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল সরঞ্জাম ও দলিল দস্তাবেজ আনা-নেওয়াসহ সব সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। নির্বাচন কার্যালয়সমূহ, রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের নিরাপত্তা বিধান করা; স্থানীয় জননিরাপত্তা, কেন্দ্রে ভোটারদের সুশৃঙ্খল লাইন করানোসহ স্থানীয় শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ, সংশ্লিষ্ট এলাকার কেন্দ্রসমূহের ইভিএম এবং ইভিএম এর কারিগরি সহায়তায় নিয়োজিত/দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এছাড়া ভোটারদের জন্য আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করবে পুলিশ।

আনসার ও ভিডিপি

পুলিশ বাহিনী কর্তৃক নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে তারা।

প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা

অস্ত্র ও গোলাবারুদ স্ব স্ব বাহিনীর সদর দপ্তর নির্ধারণ করবে; স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক আবাসন ব্যবস্থা নির্ধারণ করতে হবে; স্ব স্ব বাহিনীর সদর দপ্তর তাদের রেশন নির্ধারণ করবে; স্ব স্ব বাহিনী তাদের যানবাহন ব্যবহার/নির্ধারণ করবে। তবে নির্বাচনী এলাকার ভোটকেন্দ্রে মোবাইল টিমসমূহ রিটার্নিং অফিসার অথবা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বেসামরিক যানবাহন অধিযাচনপূর্বক ব্যবহার করতে পারবে; স্ব স্ব বাহিনী তাদের যানবাহন ব্যবহার/নির্ধারণ করবে।

তবে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে নির্ধারিত নির্বাচনি এলাকার কেন্দ্রে কারিগরি সহায়তা প্রদানকারী মোবাইল টিমসমূহ রিটার্নিং অফিসার অথবা স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে বেসামরিক যানবাহন অধিযাচনপূর্বক ব্যবহার করতে পারবে; এই সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয়ভার সামরিক/বেসামরিক যানবাহন/নৌযান জ্বালানী রক্ষণাবেক্ষণ ও ভাড়া ইত্যাদি নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক বহন করা হবে।

আগামী ২১ জুন লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রায় ৪ লাখ ভোট প্রায় দেড়শ ভোটকেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

এ আসনে স্বতন্ত্র থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতের আদালতে ফৌজদারি অপরাধী হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় তার আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন লক্ষ্মীপুর-২ আসনে উপনির্বাচনের তফসিল দেয়।

আসনটিতে দুজন বৈধ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন—আওয়ামী লীগের নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জাতীয় পার্টির শেখ মো. ফায়িজ উল্যাহ শিপন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর