দেশে অক্সিজেনের অভাব নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এই মুহূর্তে দেশে কোন অক্সিজেন সংকট নেই। আমাদের দেশের অক্সিজেন ব্যবস্থাপনা অন্য কোন দেশের ওপর নির্ভর করে না। সারা বছর ভারত বা অন্য কোন দেশ থেকে অক্সিজেন আমদানী করার প্রয়োজন পড়েনি। করোনার পিক অবস্থায় ভারত থেকে কিছু অক্সিজেন আমদানী করা হয়েছিল। এখন ভারতের কঠিন সময় যাচ্ছে। এই সংকটে ভারত অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করলেও এ নিয়ে আতংকিত হবার কিছু নেই।

তাছাড়া লিকুইড অক্সিজেনের তুলনায় গ্যাস অক্সিজেনের উৎপাদনে আমাদের সক্ষমতা অনেক বেশি। গ্যাস অক্সিজেনে এখন দিনে আড়াই’শ টন অক্সিজেন উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। লিকুইড অক্সিজেন দেড় থেকে দুই’শ টন উৎপাদন হয়। দেশের বেসরকারি মেডিকেল খাতেও ৪০-৫০ টন অক্সিজেন উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলোকেও নেয়া যাবে। এর তুলনায় দেশে বর্তমানে দৈনিক চাহিদা এক থেকে দেড়’শ টন মাত্র। চাহিদা দ্বিগুণ হলেও অক্সিজেন সংকট এই মুহুর্তে হবে না।

তবে, রোগী সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেলে তখন ভিন্ন চিত্র দেখা দিতে পারে। এজন্য রোগী যাতে না বাড়ে সেদিকে সকলের মনোযোগী হতে হবে।

মঙ্গলবার মহাখালীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে ‘কোভিড-১৯, দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও জনসচেতনতা’ শীর্ষক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

ভারতের সংকটকালীন সময়ে চুক্তি অনুযায়ী টিকা দিতে না পারলে বা বিলম্বে দিলে সেজন্য সরকার বসে থাকছে না, বরং সরকার চীন, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশগুলোর সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোড়ালোভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। শীঘ্রই আশানুরূপ কিছু পাওয়া যেতে পারে বলেও জানান মন্ত্রী।

দেশে লকডাউন থাকায় সংক্রমণ এখন কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে লকডাউনের কারণে ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা বা যারা কাজ করে চলে তাদের জন্য ক্ষতিকর হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে সরকার স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে দোকান-পাট নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা রাখছে বলেও জানান মন্ত্রী।

সকলে মিলে একযোগে কাজ করেই করোনা থেকে সবাইকে মুক্তি নিতে হবে বলে জানান মন্ত্রী। মন্ত্রী এসময় চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতদের কাজকে মূল্যায়ন করে তাদেরকে আরো উৎসাহ দেবার কথা জানান।

ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম মন্ত্রীর সাথে উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর