ঢাকার দুই মেয়রকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর পরামর্শ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রকে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে রাজধানীর জলাবদ্ধতা দূর করতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

গাবতলী সংলগ্ন কল্যাণপুর স্টর্ম ওয়াটার পাম্প হাউজ এরিয়ায় স্থানীয় পাম্পের রিটেনশন পন্ড এর জন্য অধিগ্রহণকৃত জমি পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম ও ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।

পরিদর্শনকালে মেয়র আতিক রিটেনশন পন্ডের জন্য নির্ধারিত জায়গা অবৈধভাবে দখল হওয়ার কথা স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবহিত করেন। তখন মন্ত্রী তাজুল খালগুলো দখল ঠেকাতে সীমানা নির্ধারণের জন্য সীমানা পিলার স্থাপনের ব্যবস্থা নিতে দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পরামর্শ দেন।এসময় মন্ত্রী দুই মেয়রকে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে রাজধানীর জলাবদ্ধতার সমস্যা দূর করতে অবৈধভাবে দখল হওয়া সব খাল পুনরুদ্ধার করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতেও বলেন। পাশাপাশি উচ্ছেদ অভিযানকালে প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও শান্তিপ্রিয় জনগণের সহযোগিতা করে নেয়ার পরামর্শও দেন তিনি।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, অবৈধ দখল করে যেকোনো অবকাঠামো নির্মাণ হোক এবং যেই করুক না কেন তা উচ্ছেদ করে ওয়াটার পন্ড নির্মাণ করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

তাজুল ইসলাম আরো বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশন নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে পাম্প রিটেনশন পন্ডের জন্য এখানে ১৭১ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে। কিন্তু অধিকৃত এ জায়গায় অনেকেই অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। এসব অবৈধ অবকাঠামো উচ্ছেদ করে পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। নগরবাসীর শাস্তির জন্য যা যা করা দরকার তার সবই করা হবে।

এসময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, জলাধারের জন্য নির্ধারিত ১৭১ একর জমির মধ্যে ১৬৯ একর জমিই অবৈধ দখলদারদের দখলে রয়েছে, যা খুবই দুঃখজনক।

অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মেয়র আতিকুল বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তাদেরকে দখল ছাড়তে হবে অন্যথায় বিনা নোটিশে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।তিনি আরো বলেন, অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে এখনই সকলকে সোচ্চার হতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অবৈধ দখলে থাকা সরকারি জমিগুলো উদ্ধার করে সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

আতিক বলেন, ইতোমধ্যে ডিএনসিসি বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে যা চলমান রয়েছে। প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে যথাযথভাবে তা রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতার সমস্যার সমাধানে সুপরিকল্পিত জলাধার খুবই প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজনীয় জমিও অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

পরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী কল্যাণপুর পাম্প স্টেশন এবং পাম্পের রিটেনশন পন্ডের জন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত জায়গা ঘুরে ঘুরে দেখেন। এছাড়া, উত্তর সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য গাবতলীতে নির্মিতব্য বহুতল ভবনের কার্যক্রমও পরিদর্শন করেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর