ভণ্ডদের পক্ষে বিবৃতিদাতারাও সেই পর্যায়ে পড়ে: তথ্যমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভণ্ড ও মিথ্যাবাদীদের পক্ষে যারা বিবৃতি দেয় তারাও ভণ্ডদের পর্যায়েই পড়ে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের বাসভবনে বিশ্ব ধরিত্রী দিবসের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

হেফাজতে ইসলামের নেতাদের মুক্তির দাবিতে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নার বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ভণ্ড ও মিথ্যাবাদীদের পক্ষে যারা বিবৃতি দেয়, তারাও সে পর্যায়ে পড়ে।

হেফাজত নেতারা যে নষ্ট এবং ভণ্ড, সেটি আজ প্রমাণিত। কারণ মামুনুলের অনৈতিক কাণ্ডকে তারা যেভাবে তড়িঘড়ি করে বসে ইসলামের আলোকে বৈধতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, নাউজুবিল্লাহ, সেটিই তার প্রমাণ।

মন্ত্রী বলেন, একইসাথে তাদের নেতৃত্বে হেফাজতে ইসলাম সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়েছে, নিরীহ মানুষের ঘরবাড়ি, সহায়, সম্পত্তি, যানবাহন জ্বালিয়ে দিয়েছে। ভূমি অফিসে আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষের জমির দলিলপত্র পুড়িয়েছে, ফায়ার-রেল-পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়েছে। মহাসড়কের ওপর দেয়াল তুলে দিয়েছে। এগুলো করে তারা আবার সেটা অস্বীকার করেছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সূর্য পূর্বদিকে ওঠে তা যেমন সত্য, হেফাজত যে এসব করেছে, সেই দিবালোকের মতো সত্যকেও তারা অস্বীকার করেছে। সুতরাং এই মিথ্যাবাদী, নষ্ট ও ভণ্ড নেতৃত্বের পক্ষ নিয়ে যারা বিবৃতি দেয়, তারাও সেই পর্যায়েই পড়ে।

আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে আছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে গত একবছর ধরে করোনাকালে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে। দলের পক্ষ থেকে প্রথম দফায় ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং কোটি কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

এর আগে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির ওয়েবিনারে দেয়া বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এবং সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মানুষ নিজেদেরকে পৃথিবীর একচ্ছত্র অধিপতি ভাবা এবং সবকিছুকেই নিজের কাজে ব্যবহারের মনোবৃত্তি পরিহার করতে হবে। অন্যথায় পৃথিবী এবং মানুষ দুই বিপন্ন হচ্ছে এবং আরো হবে।

এ ওয়েবিনারে সঞ্চালনায় ছিলেন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও সভাপতিত্ব করেন বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর এডভান্সড স্টাডিজ চেয়ারম্যান ড. আতিক রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কিউ এম মাহবুব, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমাদ, স্থপতি ইকবাল হাবিব ও গাজী টিভি’র প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর