কিশোরগঞ্জ হোসেনপুরে বি-ধান-৮৪’র নতুন জাতের রোপন করা, বাম্পার ফলন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা শস্য ও ধান উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে স্বীকৃত। বিগত বছর গুলোর তুলনায় এবছর উপজেলার ৯৮ টি গ্রামে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সবুজ ও আধাপাকা ধানে দোল খাচ্ছে সারা ফসলী মাঠ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ বছর উপজেলার আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের ধূলজুরী গ্রামে নতুন জাতের বোরো বি-ধান-৮৪ কৃষক পর্যায়ে উৎপাদনের সিন্ধান্ত নেন।
আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ধান, গম ও পাট বীজ উৎপাদন সংরক্ষন ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় উন্নত মানের প্রদর্শনী কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।ধূলজুরী গ্রামের কৃষক মো. মুজিবুব রহমান এর আওতাধীন ৫ একর জমিতে নতুন জাতের বি-ধান-৮৪ রোপন করা হয়। এই ধানের গড় উচ্চা ৯৬ সে.মি এবং জীবন কাল ১৪০ দিন। প্রায় বি-ধান- ২৮ এর মতো উচ্চ মাত্রার জিংক ও আয়রন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ এই ধানের ভাত ও পোলাও  বেশ সু-স্বাদু। উৎপাদনের উদ্দেশ্য হলো কৃষক পর্যায়ে  ধান  উৎপাদন  করে বীজ সংরক্ষণ ও নিজের জন্য ব্যবহার এবং পার্শ্ববর্তী কৃষকদের মধ্যে  বিক্রি করে  জাত সম্প্রসারন করা ।আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়েনের ধূলজুরী ব্লকের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুরাইয়া নাজনীন মাঠে পর্যায়ে নতুন ধানের জাত উৎপাদনে কৃষকদের নিয়মিত সহায়তা ও পরামর্শ দিয়েছেন। এ প্রকল্পের আওতাধীন ৫ একর  বোরো বি-ধান-৮৪ এখন রঙিন আকার ধারণ করেছে। ফলন বাম্পার হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির আভাস।কৃষক মো. মজিবুর রহমান জানান, আমরা নতুন জাতের ধান আবাদ করে খুবই আনন্দিত ও লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরুল কায়েস জানান, এ ধান উৎপাদনে  কৃষকদের বিনামূল্যে সার ও বীজ  দেয়া হয়েছে। হেক্টর প্রতি ধানের ফলন ৬.৫ মে.টন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর