সর্বাত্মক লকডাউনের পঞ্চম দিন, বেড়েছে মানুষ ও যানবাহনের চাপ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করোনার বিস্তার রোধে চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের পঞ্চম দিনে আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে রাজধানীর সড়কগুলোতে লোক সমাগম ও যানবাহন চলাচল বেড়েছে।

রাজধানীর কাঁচাবাজার ও মহল্লার দোকানগুলোতে দেখা গেছে স্বাভাবিক বেচা-কেনা।

লকডাউনের গত দিনগুলোর তুলনায় আজ বেশিরভাগ জায়গায় লোক সমাগম বেশি দেখা গেছে।

ঢাকার কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখেছেন দ্য ডেইলি স্টার’র প্রতিবেদকরা।

লকডাউন পরিস্থিতি দেখতে উত্তরা, মিরপুর রোড, কাকরাইল, মোহাম্মদপুর, আসাদগেটসহ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন শেষে প্রতিবেদক মুনতাকিম সাদ জানিয়েছেন, ‘লকডাউনের প্রথম চার দিনের তুলনায় আজ পঞ্চম দিনে রাস্তায় মানুষ ও যানবাহনের ভিড় অনেকটা বেশি দেখা গেছে।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, এ দিন সকাল ১০টায় বনানী থেকে উত্তরার দিকে যেতে র‌্যাডিসন হোটেলের সামনে যানবাহনের সারি চোখে পড়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই প্রাইভেট কার, কাভার্ড ভ্যান, সিএনজিচালিত অটো রিকশা ও মোটরসাইকেল।

লকডাউনের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকলেও কলকারখানা ও ব্যাংকিং সেবার মতো জরুরি কার্যক্রম চলমান আছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় মূলত অফিসগামী লোকজনের কারণেই গত শুক্র ও শনিবারের তুলনায় যানবাহন চলাচল বেড়েছে।’

প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, বিমানবন্দর সড়কের মতো মিরপুর রোড ও কাকরাইলের বিভিন্ন সড়কেও গণপরিবহন বাদে অন্যান্য যানবাহনের আধিক্য চোখে পড়েছে। কিছু কিছু সিগন্যালে অল্প সময়ের জন্য হলেও যান চলাচল থামতে দেখা যায়। সেসব জায়গায় তৎপর ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।

এ ছাড়া অন্য দিনগুলোর তুলনায় আজ রাজধানীর মূল সড়কে রিকশা চলাচলও বেড়েছে।

অফিসগামী লোকজনের বাইরে অনেককে জরুরি কাজে বাইরে বের হতেও দেখা গেছে। অনেকে বের হয়েছেন কাঁচাবাজার করতে কিংবা নিত্যপণ্য কিনতে।

বেগম রোকেয়া সরণি, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার চিত্রও অনেকটা একই রকম। এই জায়গাগুলো ঘুরে প্রতিবেদক শাহীন মোল্লা বলেছেন, ‘আজ রোকেয়া সরণিতে মালবাহী যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি দেখা গেছে। রিকশা চলাচল বেড়েছে। পথের দুই পাশে নির্মাণ সামগ্রীর দোকানগুলোতে সাটার অর্ধেক খোলা রেখে বেচা-কেনা চলছে।’

‘কাঁচাবাজারসহ মহল্লা ও অলিগলির চিত্র এখন অনেকটা স্বাভাবিক সময়ের মতোই’ বলে জানিয়েছেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর