লাল রঙের পোশাকের কারণে স্থানীয়রা তাদের লালবাহিনী নাম দিয়েছে। সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকেও এ লালবাহিনীর সামাজিক কর্মের ছবি ভাইরাল হয়েছে, যা বেশ প্রশংসিত হচ্ছে।
জানা গেছে, নিজের তাগিদেই প্রথমে কাজ শুরু করেন শ্যামগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গোবিন্দ বণিক। তাকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন স্থানীয় সংগঠন স্বপ্ন সমবায় সমিতি।
গত ২৮ মার্চ, পিকআপে করে জীবাণুনাশক স্প্রে করে তারা। এভাবে প্রতিদিনই শ্যামগঞ্জের এ প্রান্ত থেকে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। বাজারের অলিগলিতেও স্প্রে করা হচ্ছে। এ এলাকায় যেসব যানবাহন চলাচল করছে, সেগুলোতেও জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।
এদিকে লালবাহিনী এই সামাজিক কর্ম ফেসবুকে এলে শ্যামগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজহারুল ইসলাম মুকুলের নজরে পড়ে। তিনি তাদের ভূয়সী প্রশংসা করে এ কার্যক্রমটি পুরো এলাকায় ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী হন।
সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকায় বসবাসরত শ্যামনগরের সামর্থ্যবানদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তহবিল সংগ্রহ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেন।
উদ্যোক্তাদের অন্যতম গোবিন্দ বণিক জানান, এ কর্মসূচির জন্য ১০টি স্প্রে মেশিন কেনা হয়েছে। নিয়োগ দেয়া হয়েছে অস্থায়ী ভিত্তিতে ১০ জন মেশিন অপারেটর। অপারেটরদের দেয়া হয়েছে জীবন রক্ষাকারী পোশাকও। ইতিমধ্যে কেনা হয়েছে ৫০ কেজি ব্লিচিং পাউডার, ১০টি চশমা ও ১০ জোড়া রাবারের জুতা।
আরেক উদ্যোক্তা সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন মনোজ জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে লালবাহিনীর উদ্যোগ প্রশংসনীয়। মানুষের জীবন রক্ষার জন্য শ্যামগঞ্জ এলাকাকে জীবণুমুক্ত রাখার এ কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
সাংবাদিক তিলক রায় টুলু জানান, করোনা ভাইরাস ঠেকাতে স্থানীয় এ উদ্যোগ শুধু আশপাশের এলাকা নয়, দেশের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।