সাধারণ ছুটি নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় মানুষের চলাফেরা ও লোক সমাগমের ক্ষেত্রে নতুন করে কড়াকড়ি আরোপ করেছে সরকার। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১৮টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এর মধ্যে বেশি সংক্রমিত এলাকায় জনসমাগম পুরোপুরি নিষিদ্ধ করাসহ বিয়েশাদি, ওয়াজ মাহফিল, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ সীমিত করা, গণপরিবহনে আসনের অর্ধেক যাত্রীবহন এছাড়া রাত ১০টার পর না বের হওয়ার মতো নির্দেশনাও রয়েছে।

এছাড়াও জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিল্প-কারখানাসমূহে ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করতে বলা হয়েছে। এমনকি অন্তঃসত্ত্বা, অসুস্থ, পঞ্চান্নর বেশি বয়সী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ বাড়িতে অবস্থান করে কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

হোটেল-রেস্তোরাঁসমূহে ধারণক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক মানুষের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র, সিনেমা হল, থিয়েটার হলে জনসমাগম সীমিত করে সব ধরনের মেলা আয়োজন নিরুৎসাহিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তবে ‘সাধারণ ছুটি’ ঘোষণার চিন্তা-ভাবনা আপাতত নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে করোনা সংক্রমণ রোধে ১৮টি নির্দেশনা জারি করা হয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এসব নির্দেশনা সাংবাদিকদের পড়ে শোনান।

সাধারণ ছুটি দেয়ার কোনো চিন্তা-ভাবনা সরকারের আছে কিনা- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের এ রকমের কোনো সিদ্ধান্ত নেই, সাধারণ ছুটি দেয়ার ব্যাপারে এ পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি।

তিনি বলেন, আমারা সবাই কাজ করেছি, সাংবাদিকরা মাঠে ছিলেন, অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেকে সতর্ক থাকায় এখন পর্যন্ত ভালো আছেন। এখন পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বা ওই ধরনের চিন্তা-ভাবনা নেই।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে গত বছর ২৩ মার্চ প্রথমবারের মত ‘সাধারণ ছুটির’ ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। শুরুতে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ‘ছুটি’ ঘোষণা হলেও পরে তার মেয়াদ বাড়ে কয়েক দফা। টানা ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি শেষ হয় গত বছরের ৩০ মে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর