আ.লীগ-বিএনপির হাত থেকে মুক্তি চায় দেশের মানুষ: জিএম কাদের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে চায় না। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হাত থেকে মুক্তি চায়। আমরা দেশের মানুষের জন্য প্রকৃত গণতন্ত্র উপহার দেব।

শনিবার বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের গুলশানের বাসভবনে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লিবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আয়োজিত মিলাদ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় জিএম কাদের এ কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী পল্লিবন্ধু ক্ষমতা হস্তান্তর করার পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংবিধান সংশোধন করে দেশে সংসদীয় স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। দুর্নীতি ও দলীয়করণের মাধ্যমে একনায়কতন্ত্র এখন স্বৈরতন্ত্রের পর্যায়ে। সংবিধানকে যেভাবে সংশোধন করা হয়েছে, তাতে গণতন্ত্রচর্চা সম্ভব নয়। সাংবিধানিকভাবে যেভাবে দেশ চলছে, একে কোনোভাবেই গণতন্ত্র বলা চলে না। আমরা মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব রাহগীর আল মাহি এরশাদ (সাদ এরশাদ) প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

দিনভর দোয়া মাহফিল ও আলোচনাসভা এবং কেক কাটাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে স্মরণ করলেন পার্টির নেতাকর্মীরা। তার ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে শনিবার সকাল ৮টা থেকে জাতীয় পার্টির বনানী এবং কাকরাইল কার্যালয়ে কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করা হয়। আলোকসজ্জা করা হয়েছে কার্যালয় দুটিতে। বনানীতে আয়োজন করা হয় স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি। দুপুর ১২টায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনাসভা। সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। আলোচনাসভায় জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু তার বক্তব্যে বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নেই। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা হচ্ছে সরকারের সুবর্ণজয়ন্তীর উপহার। যারাই হামলা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে জাতীয় যুব সংহতির আনা বিশাল আকৃতির কেক কাটা হয়।

দুপুরে পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার উদ্যোগে শ্যামপুর বালুর মাঠে আয়োজন করা হয় আলোচনাসভার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। এরশাদের জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কাটা ও দুই সহাস্রাধিক মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যায় জাপার কাকরাইল কার্যালয়ে পৃথক আলোচনাসভার আয়োজন করে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টি ও জাতীয় ছাত্রসমাজ। স্বেচ্ছাসেবক পার্টির উদ্যাগে ৯২ পাউন্ডের কেক কাটেন জিএম কাদের। এরপর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, জাতীয় ছাত্রসমাজ, জাতীয় কৃষক পার্টির কেক কাটেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এরশাদের সহোদর ও পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। সন্ধ্যায় পৃথকভাবে আলোচনাসভা ও কেক কাটে এরশাদ ট্রাস্টি বোর্ড। জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের এই অনুষ্ঠানে আসার আহ্বান জানানো হলেও পার্টির কোনো নেতাকর্মীকে এতে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর