কানের দুলের জন্য শিশুকে হত্যার পর.

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের নোয়াহাটি এলাকা থেকে বুধবার সকালে কাশপিয়া শেফা (৮) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হোসাইনের তৃতীয় আদালতে দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে তারা পুলিশের কাছেও সত্যতা স্বীকারসহ হত্যাকাণ্ডের পরের কিছু ঘটনা বর্ণনা করে।

স্বীকারোক্তিতে তারা জানায়, মূলত শিশুর কানে থাকা স্বর্ণের দুল নেওয়ার জন্যই পরিকল্পিতভাবে তাকে ডেকে নেওয়া হয়। দুল নেওয়ার সময় শিশুটি চিৎকার করলে তাকে প্রথমে গলা চেপে ও পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর দুই আসামি শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পরে একটি ঝোঁপঝাড়ে নিয়ে লাশ ফেলে দেয়। হত্যার সঙ্গে জড়িত নারী আসামি খুব স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি গিয়ে গোসল করে ঘুমিয়ে পড়ে।

কাশপিয়া সরাইলের সৈয়দটুলা গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে। মঙ্গলবার বিকেলে নিখোঁজের একদিন পর বাড়ির কাছের ঝোঁপঝাড়েই তার লাশ পাওয়া যায়। সৈয়দটুল গ্রামের পশ্চিম পাড়ার আব্দুল মতিনের মেয়ে রিমি আক্তার ও পূর্ব পাড়ার শাহবাজ আলীর ছেলে হোসেন মিয়া এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে জানা যায়।

সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকে কাশপিয়ার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গ্রামে মাইকিংও করে শিশুটির পরিবার। শিশুটির সঙ্গে রিমির ভালো সম্পর্ক থাকায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে রিমির দেওয়া তথ্য মতেই শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। রিমি যেসব তথ্য দিচ্ছে সেগুলো যাচাই করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতেই হোসেন ও জামালকে আটক করা হয়।

স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি জানান, শিশুটির কাছে থাকা কানের দুল ছিনিয়ে নিতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হোসেন মিয়ার সঙ্গে কথা বলে রিমি। পরিকল্পনা অনুযায়ী রিমি ওই শিশুকে ঘোড়ার খেলা দেখানোর কথা বলে হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যায়। হোসেন ঘরে ঢুকার পর শিশুটির কাছ থেকে কানের দুল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সময় শিশুটি চিৎকার শুরু করলে প্রথমে তাকে গলা চিপে ও পরে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর হোসেন ও রিমি শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে রিমি কানের দুল নিয়ে একটি দোকানে চার হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। হত্যাকাণ্ডের পরও খুব স্বাভাবিক ছিল রিমি। বাড়িতে গিয়ে গোসল করে সে ঘুমিয়ে পড়ে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর