সূর্যমুখী চাষ করে মহাবিপদে চাষিরা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বাড়তি লাভের আশায় কৃষি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বিকল্প চাষের দিকে ঝুঁকছেন মুন্সিগঞ্জের কৃষকরা। তাই আলু বা মরিচের মতো প্রথাগত চাষ ছেড়ে সূর্যমুখী বুনেছিলেন তারা। সূর্যমুখীর ছটায় বিস্তীর্ণ জমি এখন হলুদ। কিন্তু তাতেও রাতে ঘুম নেই কৃষকদের চোখে। বিকল্প চাষ করে মহাবিপদে পড়েছেন তারা।

সফলভাবে ফসল ফলালেও সঠিক সংরক্ষণ পদ্ধতি না জানায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কপালে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরে যোগাযোগ করেও সাড়া না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন চাষিরা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংশ্লিষ্ট অধিদফতর।

বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার হাসাইল এলাকার কৃষক লিটন দেওয়ান ৬০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। তার জমিতে পাকা ও আধাপাকা সূর্যমুখি ফুল বাতাসে দোল খাচ্ছে। জমির পাশেই তরুণ-তরুণীসহ নানান বয়সের মানুষ ছবি তুলছেন সূর্যমুখী ফুলের সঙ্গে। এতে বেশ বিরক্ত লিটন দেওয়ান।

কারণ সংরক্ষণ পদ্ধতি না জানায় জমিতে পাকা ফুল ঝরে পড়ছে অন্যদিকে দর্শনার্থীর ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।

কৃষক লিটন দেওয়ান বলেন, কৃষি অধিদফতর থেকে বিনামূল্যে বীজ পেয়ে প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী বীজ বুনেছি। গত ৪ মাসে বিভিন্ন প্রকার সার ও পানির সেচ দিয়ে আমার ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু এখন সূর্যমুখী ফুল কিভাবে সংরক্ষণ করে তেল উৎপাদন করব এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।

কৃষি অধিদফতরে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তারা আজ আসবে, কাল আসবে বলে আমাকে ঘুরাচ্ছে। এদিকে ফুলও ঝরে পড়তে শুরু করেছে। সাথে সূর্যমুখী ফুল দেখতে আসা মানুষজন ছবি তুলতে গিয়ে গাছ ও ফুলের ক্ষয়ক্ষতি করছেন বলে জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর