হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশব্যাপী পুলিশের সেবাকে মানুষের দাড়প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, বিপিএম (বার) বিভিন্ন যুগোপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন। যার ধারাবাহিকতায় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)-এর নির্দেশে মাদারীপুর জেলায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসানের দিক-নির্দেশনায় জেলার সার্কেল ও থানা পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
মাদারীপুর জেলা পুলিশ জঙ্গিবাদের কুফল, মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব, নারী ও শিশু নির্যাতন, শিশু শ্রম, বাল্য বিবাহ ও ইভটিজিং বন্ধ এবং সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে আসছে। বর্তমানে থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েণ্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং জনগণকে তাদের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে বাসার মালিকদের তাদের ভাড়াটিয়াদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে থানায় জমা দানের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং সম্পর্কে কেউ কিছু জানতে পারলে থানা পুলিশকে জানাতে বলা হচ্ছে এবং সেক্ষেত্রে সংবাদদাতার পরিচয় গোপন রাখা হবে মর্মে তাদের আশ্বস্ত করা হয়। লোকজনকে সাইবার ক্রাইম ও গুজব সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা এ ধরণের অপরাধ সনাক্তসহ নিজেদের এ ধরণের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। এছাড়াওবর্তমানে পুলিশের আধুনিক সেবা ৯৯৯ এর ব্যবহার সম্পর্কেও অবগত করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় মাদারীপুর জেলায় মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুর্নীতি, ঘুষ ও হয়রানি মুক্ত পুলিশি সেবা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ মাদারীপুর জেলা পুলিশ। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে ডিআইজি, ঢাকা রেঞ্জ এবং পুলিশ সুপার মাদারীপুরের নির্দেশনায় মাদারীপুর জেলার পাঁচটি থানার ৬৭টি বিট কার্যালয়ের অধীনে ৬৭টি মসজিদসহ পুলিশ লাইন্স মসজিদে পবিত্র জুম্মার নামাজের খুতবার পূর্বে মাদারীপুর জেলা পুলিশের বিভিন্ন স্তরের অফিসার কর্তৃক বিশেষ বক্তব্য প্রদান করা হয়। বক্তব্যে সর্বপ্রকার পুলিশি সেবা যেমন মামলা, জিডি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, সকল প্রকার ভেরিফিকেশনের জন্য দালাল কিংবা পুলিশ সদস্যদের সাথে কোন প্রকার অর্থনৈতিক লেনদেন না করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। সমাজে সচরাচর সংঘটিত সকল ধরনের অপরাধ যেমন মাদক, জঙ্গীবাদ, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, ইভটিজিং, যৌতুক প্রদান, বাল্যবিবাহসহ অন্যান্য অপরাধের তথ্য প্রদান করে অপরাধ নির্মূল পুলিশকে সহায়তা করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। যোগাযোগের জন্য জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯, বিট অফিসার, অফিসার ইনচার্জ, সার্কেল এএসপি/এডিশনাল এসপি এবং পুলিশ সুপারের মোবাইল নাম্বার সরবরাহ করা হয়। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও করোনাকালে বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্য যেভাবে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সেবা করেছেন একইভাবে ভবিষ্যতে যাতে সুস্থভাবে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে পারে সে জন্য সবার কাছে দোয়া চাওয়া হয়।
পুলিশ সুপার মাদারীপুর মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে আমরা বর্তমানে মসজিদভিত্তিক প্রচারণার কাজ শুরু করেছি এবং পর্যায়ক্রমে আমরা এ কাজ গুলি মন্দির, গীর্জা, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাট-বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত করবো ইনশাআল্লাহ।’ এছাড়া সমাজের প্রতিটি নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পদার্পন করেছে। আমাদের এ উন্নয়ন ও সফলতাকে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসই করতে হবে। আমরা তারই ধারবাহিকতায় কাজ করে যাচ্ছি অবিরত।’