হাওর বার্তা ডেস্কঃ কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৪০টি ইটভাটা রয়েছে। নিয়মনীতি না মেনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, রেললাইনের পার্শ্ববর্তী দুই ফসলি জমিতে স্থাপিত ৪৪টি ইটভাটার মধ্যে চারটি এবার বন্ধ রয়েছে। বাকি ৪০টির মধ্যে ১৪টিরই ছাড়পত্র নেই।
এক মাস আগে অবৈধ ইটভাটায় অভিযানে নামে পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযানে বড়ইবাড়ী ন্যাশনাল ব্রিকস ১ ও ন্যাশনাল ব্রিকস ২-এর মালিক আব্দুল মালেককে ১২ লাখ টাকা, ভূঙ্গাবাড়ী এলাকার মেসার্স ভ্যান্ডার ব্রিকসের মালিক আব্দুল জলিলকে ৬ লাখ টাকা, দরবাড়িয়া এলাকার মেসার্স ন্যাশনাল ব্রিকসের মালিক মো. নুরুল ইসলামকে ৬ লাখ টাকা, স্ট্রং ব্রিকসের মালিক মো. রাসেল/হাবিবুরকে ৬ লাখ টাকা ও মেসার্স রাইমা ব্রিকসের মালিক মো. মজিবুর রহমানকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
কিন্তু রহস্যজনক কারণে বাকি ৯টি অবৈধ ইটভাটায় এখনো কোনো অভিযান চালানো হয়নি। অপরদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে বন্ধ হওয়া অবৈধ ইটভাটাগুলোতে অভিযানের পরের দিন থেকেই নির্বিঘ্নে ইট পোড়ানো হচ্ছে। তা ছাড়া উপজেলার অধিকাংশ ইটভাটায় অবাধে চলছে শিশুশ্রম। যে কোনো সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা কালিয়াকৈর শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন হান্নান বলেন, কালিয়াকৈরে অধিকাংশ ইটভাটায় অবাধে শিশুশ্রম চলছে। তিনি ইটভাটায় শিশুশ্রম বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে গাজীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আব্দুস সালাম বলেন, সিডিউলের কারণে কালিয়াকৈরে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। তা ছাড়া ইটভাটা আইন শুধু পরিবেশ অধিদপ্তরে না। ইট পোড়ানো আইন জেলা প্রশাসনেরও। পরিবেশ অধিদপ্তর কয়টি অভিযান পরিচালনা করেছে এবং অন্যান্য অধিদপ্তর কয়টি অভিযান পরিচালনা করেছে সেটাও দেখবেন। তবে ঢাকা থেকে ম্যাজিস্ট্রেট আসলে খুব দ্রুত কালিয়াকৈরে অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালিত হবে।