হাওর বার্তা ডেস্কঃ জামাল বাদশা, লালমনিরহাট থেকে: পাল্টে যাচ্ছে লালমনিরহাটের তিস্তার চরের মানুষের জীবনযাত্রা। অভাব আর অনটন নিত্য সঙ্গী ছিল চরাঞ্চলের মানুষগুলোর। পতিত জমিতে সবজি চাষ করে পাল্টে গেছে ভাগ্য। উৎপাদিত শাক সবজির কীটনাশকমুক্ত হওয়ায় চাহিদাও দারুণ।
তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে লাখো কৃষক তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এ বছর চরাঞ্চলে ১০ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। কম খরচে লাভবান হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বার তিস্তার জেগে ওঠা চরে সবজির আবাদ হয়েছে অনেক বেশি। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ঔষধের পরিবর্তে চাষিরা জৈব সার ব্যবহার করছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, চরের জমি চাষ করতে কষ্ট হলেও প্রচুর পরিমাণ লাভ আছে। চর এলাকাতে ফসল ভালো হয়। তবে আমরা বিশেষ পদ্ধতিতে জমি চাষ করছি। তিস্তা নদীর চরে আমরা আলুসহ অনেক ধরনের সবজি চাষ করি।
তিস্তার চরের চাষাবাদ নিয়ে লালমনিরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ বলেন, চরের জমির পানির যে লেভেল আছে তাতে সেচ দেওয়ার সময় কিছুটা সমস্যা হয়। আমরা নিয়মিতভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছি কিভাবে চাষাবাদ করবে।জেলার ৫টি উপজেলার চরাঞ্চলে আবাদি জমির পরিমাণ ১০ হাজার ৮শ হেক্টর। চরাঞ্চলের এ জমিকে কাজে লাগাতে কৃষকদের কে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।