মাদারটেকে নির্মাণাধীন ভবনে কিশোর গ্যাংয়ের ধারাবাহিক হামলা, লুটপাট

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর মাদারটেকে একটি নির্মাণাধীন ভবনে কিশোর গ্যাংয়ের ধারাবাহিক হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে পরপর তিনদিন ওই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ১৪১/১ মাদারটেকের (বাগানবাড়ী) ছয়তলা ওই ভবনটিতে হামলা ও লুটপাট চালায়। সর্বশেষ শনিবার রাত পৌনে ১২টায় ওই ভবনে হামলা চালায় কোল্লাবাড়ি এলাকার তোতলা অনিক ও সুমনের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের ২৫-৩০ জন সদস্য।

এ সময় তারা ওই ভবনের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে এবং ভবনের দায়িত্বপালনকারীদের হত্যার হুমকি দেয়। কোনো উপায় না পেয়ে নির্মাণাধীন ভবনের দায়িত্বপালনকারীরা সবুজবাগ থানায় খবর দেন। এসআই মঞ্জুরের নেতৃত্বে সবুজবাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা স্থান ত্যাগ করে। হামলাকারীরা নিজেদের স্থানীয় ছাত্রলীগের সদস্য বলে দাবি করে।

পুলিশ এ সময় আশপাশের কয়েকটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকজনকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়। এ সময় এসআই মঞ্জুর ভবনের দায়িত্বপালনকারীদের বলেন, আপনারা এখানে দায়িত্ব পালন করবেন। হামলাকারীদের আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। আমরা ব্যবস্থা নেব। কোনো ধরনের অসুবিধা হলে সাথে সাথে ফোনে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। এর আগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হামলা ও লুটপাট চালায়। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তোতলা অনিক ও সুমন ভবনের গেটের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে। সিকিউরিটি গার্ড তাদেরকে বাধা দেয়। এ সময় তোতলা অনিক ও সুমন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ভবনের দায়িত্বপালনকারীদের হত্যার হুমকি দিয়ে স্থান ত্যাগ করে।

পরদিন শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে তোতলা অনিক ও সুমনের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য এসে ভবনের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে সিকিউরিটি গার্ড বাধা দেয়। এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ভবনের বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। আধা ঘণ্টা ধরে লুটপাটের পর তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। যাওয়ার সময় তারা হুমকিও দিয়ে যায়। শুক্রবারের হামলা ও লুটপাটের পরপরই ভবন মালিক স্থানীয় গণ্যমান্যদের কাছে বিষয়টি জানান। শুক্রবার সন্ধ্যায় জক্কু মাতবরের নেতৃত্বে সামাজিকভাবে পুরো বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। কিন্তু এরপর শনিবার রাতে আবার কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ওই ভবনে হামলার উদ্দেশে মহড়া দেয়। বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন ভবনের মালিক।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর