বিজয় দাস নেত্রকোনাঃ নেত্রকোণার মদনে দু-পক্ষের সংঘর্ষের পর বুধবার রাতে জনতা বাজারের জমিদাতা বাউসা গ্রামের মানিক মিয়ার বসত ঘর ও মালামাল ভাংচুর করে বাজার কমিটি ও বাউসা গ্রামের লোকজন। এদিকে সাপ্তাহিক হাট জনতা বাজার বৃহস্পতিবার বন্ধ রেখেছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রোমান মানিক মিয়ার বসতঘর ও মালামাল ভাংচুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে ৫ জনকে আটক করে বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা কোর্ট হাজতে প্রেরণ করেছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পরও এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার জনতা বাজারে গেলে সাপ্তাহিক হাটটি বন্ধ রয়েছে। বাজারটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বাউসা গ্রামে মানিক মিয়ার বাড়িতে গেলে পরিবারের কোন সদস্যকেও পাওয়া যায়নি। তার বসতঘর ও মালামাল ব্যাপক ভাংচুরের দৃশ্য চোখে পড়ে।
এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাউসা গ্রামের কয়েকজন বলেন, আমরা অনুরোধ করেছিলাম বাজারের জায়গা বাজার কমিটিকে দেয়া হোক। সে তা না মেনে অন্য জায়গায় বিক্রি করায় এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় গ্রামবাসী তার বসতঘর ভাংচুর করেছে।
জানা যায়, জনতা বাজারের ২ শতাংশ ভূমি মাখনা গ্রামের ফৌজদার মিয়ার কাছে মানিক মিয়া বিক্রি করে দেয়। ওই স্থানে ফৌজদার মিয়া ঘর নির্মাণ করলে বাজার কমিটির সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। বাজার কমিটির দাবি তাদের কাছে ওই জমি মানিক মিয়া জনতা বাজার প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে মৌখিক ভাবে বিক্রি করেছে। তাই তাদের জায়গা থেকে ফৌজদার ও মানিক মিয়ার ঘর ভেঙে দিলে বুধবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে বুধবার রাতে জমিদাতা মানিক মিয়ার বসত ঘর ভেঙে দেয়।
বাউসা গ্রামের মানিক মিয়া জানান, গত দুই দিন আগে থেকেই বাজার কমিটি ও বাউসা গ্রামের উশৃঙ্খল লোকজন আমার পরিবারের লোকজনকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বুধবার সংঘর্ষের পর রাতে আমার বসতঘর ভাংচুর করে সমস্ত মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। বর্তমানে আমি এবং আমার পরিবার পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত এসআই মোশারফ হোসেন বলেন, বুধবার সংঘর্ষে আহত তিন জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। মানিক মিয়ার বসত ঘরের ভাংচুরের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।