হাওর বার্তা ডেস্কঃ নিজ জন্মভূমি কিশোরগঞ্জের মিঠাইনে সংবর্ধিত হয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবর্ধনা উদযাপন কমিটির আয়োজনে মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অডিটোরিয়ামে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন সংবর্ধনা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আব্দুল হক নূরু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ছাড়াও মিঠামইন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আছিয়া আলম, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব তপন কুমার সরকার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর হারুন অর রশিদ, বিদ্যালয় পরিদর্শক আবুল মনসুর ভূঁইয়া, উপ-পরিচালক প্রফেসর আজাদ হোসেন চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রভাংশু সোম মহান, তমিজা খাতুন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আবেদা আক্তার জাহান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট শরীফ কামাল, জেলা পরিষদ সদস্য সমীর কুমার বৈষ্ণব, বীর মুক্তিযোদ্ধ নূরুল ইসলাম সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. শাহজাহান মিয়া, মাদরাসা সুপার ইয়াকুব আলী বরুনী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এমপি তৌফিক বলেন, হাওরে যদি কোন গ্রামে ছাত্র-ছাত্রী অনুপাতে প্রাইমারী স্কুলের সমস্যা হয় তবে পর্যায়ক্রমে ওই সকল এলাকায় স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হবে। তিন উপজেলায় এখন তিনটি সরকারি কলেজ ও তিনটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। হাওরে এখন ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা পড়াশোনায় এগিয়ে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন খুলে দেয়া উচিত। মহামারী করোনার কারণে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে। প্রায় বাড়িতেই ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইন ক্লাসের নামে রাত জেগে মোবাইল অপারেটিং করছে। এটা পরিবর্তন করতে হবে। এ অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের লাইফ স্টাইল অনেকটা বদলে গেছে। ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া প্রয়োজন।
এমপি তৌফিক সংবর্ধিত অতিথি অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ইটনা এবং অষ্টগ্রামে দুটি বিদ্যালয়ে সমস্যা রয়েছে। এগুলো সমাধানের চেষ্টা করবেন। বড় ভাই হিসেবে এটা আমার আবদার।
হাওরের যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নয়নে তিনি নিজে মিঠামইন থেকে মরিচখালী ১১ কিলোমিটার উড়াল সেতুর সয়েল টেস্টের উদ্বোধন করেছেন বলে এমপি তৌফিক তার বক্তৃতায় জানান।
রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান আমার ফুফাত ভাই এবং তার জন্ম মিঠামইন সদর ইউনিয়নে। তিনি মিঠামইনের সন্তান। আমার ফুফু মিঠামইন উপজেলা চেয়ারম্যান।
তাই হাওরবাসী শিক্ষা বোর্ডের কোন কাজে ঢাকায় গেলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তাদের সেবা দেওয়ার অনুরোধ জানান এমপি তৌফিক।