নাসিরের দলের বিপক্ষে ১২ বলে ফিফটি পাকিস্তানি তারকার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি মানুষ ভালোবাসে এখানে ধুম-ধাড়াক্কা চার-ছক্কার খেলা চলে। কিন্তু টি-টেন তার চেয়েও যে বিধ্বংসী? এখানে মানা হয় না কোনো ক্রিকেটীয় ব্যাকরণ। বোলারদের মৃত্যুকুপ বলা চলে টি-টেন। আবুধাবি টি-টেনের জনপ্রিয়তা যে কারণে শুধু বেড়েই চলেছে।

বুধবার রাতে পাকিস্তানি তারকা ওয়াসিম মুহাম্মদ খেললেন বিধ্বংসী ইনিংস। বাংলাদেশের নাসির হোসেনের দল পুনে ডেভিলসের বিপক্ষে মাত্র ১২ বলে তিনি করলেন হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন ১৩ বলে ৫৬ রান করে।

৭টি ছক্কার সঙ্গে তিনি হাঁকালেন ৩টি বাউন্ডারি। ৫৬ রানের মধ্যে ৫৪ রানই এসেছে তার চার-ছক্কা থেকে। ২টি রান সিঙ্গেল। অর্থ্যাৎ মাত্র একটি বল ডট খেলেছেন ওয়াসিম মোহাম্মদ।

মুখোমুখি হয়েছিল নাসির হোসেনের দল পুনে ডেভিলস এবং নিকোলাস পুরানের দল নর্দান ওয়ারিয়র্স। ওয়াসিম মুহাম্মদ খেলেছেন নর্দান ওয়ারিয়র্সের হয়ে। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে তিনি ৩৩ বল হাতে রেখেই তার দলকে জয় এনে দেন।

টস জিতে নর্দানের অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান পুনে ডেভিলসকে। ব্যাট করতে নেমে নর্দানের বোলারদের তোপের মুখে পড়েন পুনের ব্যাটসম্যানরা। যে কারণে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ১০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ৯৭ রান।

সর্বোচ্চ ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক নাসির হোসেন। ১৬ বলে তিনি ইনিংসটি সাজান ১টি ছক্কা এবং ৩টি বাউন্ডারিতে। ২৪ রান করেন কেনার লুইস, ২০ রান করেন টম কোলার ক্যাডমোর এবং ১৮ রান করেন অ্যালেক্সিস ডেভিস।

নর্দান ওয়ারিয়র্সের হয়ে ৩ উইকেট নেন ওয়েইন পার্নেল এবং ২ উইকেট নেন ওয়াহাব রিয়াজ। ১টি করে উইকেট নেন ফ্যাবিয়েন এলেন এবং রায়াদ এমরিত।

জবাব দিতে নেমে নর্দানের দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং এবং ওয়াসিম মুহাম্মদই দলকে অনায়াসে জয়ের লক্ষ্যের দিকে নিয়ে যান। ৭১ রানের জুটি গড়েন তারা। ২০ রান করে আউট হন ব্রেন্ডন কিং। নিকোলাস পুরান আউট হন ৬ রান করে।

তবে ওয়াসিম মুহাম্মদ এবং শেষ দিকে নামা রভম্যান পাওয়েলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৪.৩ (২৭ বলে) ওভারেই জয়ের জন্য নির্ধারিত ৯৮ রান করে পেলে নর্দান ওয়ারিয়র্স। ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ওয়েইন পার্নেল।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর