শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিটি খাতে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জিত হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিকসহ প্রতিটি খাতে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার দলটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রচার কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

সেতুমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অব্যাহত গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর্থ-সামাজিকসহ দেশের প্রতিটি খাতে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন হচ্ছে। এসব অর্জনের ধারাকে বর্ণিল করে তুলেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশের আইসিটি খাতে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। রাজধানী থেকে প্রত্যন্ত জনপদে বিশ্ব যোগাযোগের নেটওয়ার্ক আজ হাতের মুঠোয়। অতীতে নানা ঘাত-প্রতিঘাতে দেশের গণতন্ত্র এগিয়ে যাওয়ার পথে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু দেশের গণতন্ত্র এখন বিকাশমান ধারায় এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মাঠের রাজনীতিতে সফলতা না পেয়ে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে বেছে নিয়েছে। সুতরাং কোনো অপপ্রচার বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেয়া যাবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে যারা সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে, তাদের বিপক্ষে সবাইকে সত্য প্রচারে অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট গ্রুপ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষ এক-এগারো’র স্মৃতি এখনো ভুলে যায়নি। ২০০৬ সালের শেষ দিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে বিএনপি নিজেদের মতো করে নির্বাচন দেয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে রাষ্ট্রপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হয়। একই সঙ্গে ক্ষমতায় টিকে থাকার অপপ্রয়াস হিসেবে ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার যুক্ত করেছিল বিএনপি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ঘটে যাওয়া গণতন্ত্রের এগিয়ে যাওয়ার পথে একটি বড় ক্ষত তৈরি করা হয়েছিল। বিএনপি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে জনগণের ভোটাধিকার হরণের অপচেষ্টা এবং একগুঁয়েমি করেছিল। ফলে সৃষ্টি হয়েছিল এক-এগারো। তখন বাধাগ্রস্ত হয়েছিল গণতন্ত্রের চলমান ধারা।

ওবায়দুল কাদের বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাইলে সরকারকে সহযোগিতা করুন। একদিকে মুখে গণতন্ত্রের কথা বলবেন অপরদিকে অগণতান্ত্রিক কাজ করলে গণতন্ত্রের শতভাগ বিকশিত হওয়ার পথ বিঘ্নিত হবে। সবাইকে দলমত নির্বিশেষে দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে এগিয়ে নিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির সুফল পাচ্ছে দেশের মানুষ। ফলে বারবার তার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়তে দেখা গেছে। কিন্তু অপশক্তি সব সময় অপপ্রচারে লিপ্ত। সুতরাং অপপ্রচারের বিপরীতে সরকারের উন্নয়ন কাজের প্রচার অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাহসী সৈনিক হতে হবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান ডক্টর হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনা‌ইদ আহমেদ পলক ও আওয়ামী লীগের গবেষণা সংস্থা সিআরআই’র সদস্যরা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর