ফিরে দেখা ২০২০: রাজনীতির চালচিত্র

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ক্যালেন্ডারের পাতা থেকে কালের অতলে হারিয়ে যেতে চলেছে আরো একটি বছর। ২০২০ সম্ভবত মানব ইতিহাসে এক ভয়ানক বছরের নাম হয়ে থাকবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে লাখো মানুষ। সারা পৃথিবীর মতো এ বছর আমরাও হারিয়েছি সাধারণ জনতা থেকে শুরু করে জাতীয় ক্ষেত্রে অবদান রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে। সংক্ষিপ্তভাবে দেখে নেওয়া যাক ২০২০ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা।

আওয়ামী লীগ

১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত মুজিববর্ষ ঘোষণা করে সরকার। দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে আয়োজনের প্রস্তুতি ছিল সরকারের। কিন্তু বছরের শুরুতে নানা পরিকল্পনার কথা শোনা গেলেও মহামারি কারণে তা আর অগ্রসর হয়নি।

এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির শূন্য কয়েকটি পদ পূরণ করা হয়েছে, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা, শিল্প ও বাণিজ্য ও মানবসম্পদ উপকমিটি গঠিত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিও গঠন হয়েছে।

এছাড়া দলের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়েছে।

বিএনপি

করোনাভাইরাসের কারণে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুটি দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাভোগ করছিলেন। দুইবছরের বেশি সময় কারাভোগের পর এই করোনাভাইরাস সংক্রমণকালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। খালেদা জিয়া এখন তার বাড়িতেই আছেন। তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি অনুপস্থিত রয়েছেন।

টানা এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির অভ্যন্তরীণ নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের খবর প্রায়ই আসে। এর মধ্যে সম্প্রতি দুই ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদকে শোকজ নোটিশ দেওয়ার বিষয়টি বেশ আলোচিত ছিল।

জাতীয় পার্টি

সংসদীয় প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মৃত্যুর পর অনেকটাই নুইয়ে পড়ে দলটি।এ বছরের শুরুতে কাউন্সিলের পর তৃণমূলে নেতাকর্মীদের নিয়ে দল গোছানোর কাজ শুরু করলেও করোনা মহামারির কারণে সে কাজ আর হয়ে ওঠেনি।

তবে এ বছরের কাউন্সিলে মশিউর রহমান রাঙ্গাঁকে মহাসচিব করা হলেওজুলাই মাসে মহাসচিব পদ থেকে তাকে বাদ দিয়ে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে বসানো হয়।

অন্যান্য

কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে বিভেদ দেখা দেয় বছরের শুরুতে। এক পক্ষের নেতৃত্বে কামাল হোসেন ও রেজা কিবরিয়া। অন্যদিকে মোস্তফা মহসিন মন্টু, আবু সাইয়িদ ও সুব্রত চৌধুরী। তবে বছর শেষে এসে কামাল হোসেন আবার দুই পক্ষকে এক করার উদ্যোগ নিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর সাবেক ভিপি ‍নূরুল হক নুরের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিলেও তা এখনও প্রকাশ হয়নি। নুরের নতুন এই দল নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল। তবে কয়েকটি দলের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছিল তাকে।

ফ্রান্সের এক সাময়িকীতে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের পরপর তা এ ঘটনাকে মুখ্য করে রাজপথে সক্রিয় হয়েছিল হেফাজতে ইসলাম। এর মধ্যে হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুর পর হেফাজতের মধ্যে বিভাজন দেখা দেয়।

এদিকে, হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফীকে ‘মানসিক নির্যাতন করে পরিকল্পিতভাবে’ হত্যার অভিযোগ এনে শফীর শ্যালক মো. মইন উদ্দিন আদালতে মামলা করেন। মো. মইন উদ্দিনের করা এই মামলায় ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই হেফাজতে ইসলামের বর্তমান আমির জুনাইদ বাবুনগরীর অনুসারী।

ভাস্কর্য ইস্যু

বছরের শেষ দিকে ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এবং ইসলামপন্থি দলগুলো কঠোর অবস্থান নেয়। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে ভাস্কর্য তৈরির পক্ষেই অনড় অবস্থানে দেখা যায়।ঢাকার দক্ষিণে ধোলাইপাড় মোড়ে শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য নির্মাণকে কেন্দ্র করে ইসলামপন্থি কয়েকটি দল ওই এলাকায় সমাবেশ করে।

যাদের হারিয়েছি

জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান

জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ১৪ মে মৃত্যুবরণ করেন ৮৩ বছর বয়সে। আনিসুজ্জামান হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুসে জটিলতা, পারকিনসন্স ডিজিজ এবং প্রোস্টেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। শেষ দিকে তার রক্তেও ইনফেকশন দেখা দেয়।বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান এই অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্ম নেওয়া আনিসুজ্জামানের বাবার নাম এ টি এম মোয়াজ্জেম। তিনি ছিলেন বিখ্যাত হোমিও চিকিৎসক।মাসৈয়দাখাতুন গৃহিনী হলেও লেখালেখির অভ্যাস ছিল।

১৯৫৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য এই অধ্যাপক একাধিক পুরস্কার লাভ করেছেন। প্রবন্ধ গবেষণায় অবদানের জন্য ১৯৭০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান।শিক্ষায় অবদানের জন্য তাকে ১৯৮৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য তাকে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পদক প্রদান করা হয়। সাহিত্যে অবদান রাখায় ২০১৫ সালে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।এছাড়া তিনি ১৯৯৩ ও ২০১৭ সালে দুইবার আনন্দবাজারপত্রিকার আনন্দ পুরস্কার, ২০০৫ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি. লিট. ডিগ্রি এবং ২০১৮ সালে কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী পদক পেয়েছেন।

মোহাম্মদ নাসিম

১৩ জুন শনিবার রাজধানীর ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।৫ জুন থেকে তিনি কোমায় ছিলেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে ১ জুন রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। পরে তার করোনা টেস্ট করা হয়। ওইদিন রাতে তার করোনা পজিটিভ আসে।

মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী। ১৯৯৬ সালে স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনৈতিক জীবনে ছয় বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

মোহাম্মদ নাসিমের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায়। তার বাবা শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী এবং স্বাধীন বাংলাদেশের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী।

শামসুর রহমান শরীফ

সাবেক ভূমিমন্ত্রী, পাবনা-৪ আসনের (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) সংসদ সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসৈনিক শামসুর রহমান শরীফ ডিলু ২ এপ্রিল ২০২০ তারিখে ইন্তেকাল করেন।

তিনি পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৪০ সালের ১০ মার্চ পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে দল তাকে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে মোট পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৪-২০১৯ মেয়াদে ভূমিমন্ত্রী ছিলেন।

অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন

৯ জুলাই ২০২০ থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন।তার বয়স হয়েছিলো ৭৭ বছর।তিনি নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন।

গত ২ জুন জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত নানা অসুস্থতায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য সাহারা খাতুনকে। অবস্থার অবনতি হলে ১৯ জুন সকালে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এরপর অবস্থার উন্নতি হলে ২২ জুন দুপুরে তাকে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে (হাইডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। পরে ২৬ জুন সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবার তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

বদরউদ্দিন আহমদ কামরান

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৫ জুন ২০২০ ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য বদরউদ্দিন আহমদ কামরান।তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।

৫ জুন সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে কামরানের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়। পরদিন তীব্র জ্বর ও বমির জন্য নগরীর শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৭ জুন তাকে ঢাকায় এনে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।

শেখ মো. আবদুল্লাহ

১৩ জুন ২০২০ রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনিও করোনা পজেটিভ ছিলেন। শেখ আবদুল্লাহ ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি টেকনোক্র্যাট কোটায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

হাবিবুর রহমান মোল্লা

৬ মে ২০২০ তারিখে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সংসদ সদস্য। হাবিবুর ঢাকা-৫ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ছিলেন।

তিনি ১৯৯১ সালে প্রথম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে অংশ নেন কিন্তু পরাজিত হন। তিনি ১৯৯৬ সালের জুনে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০১ সাধারণ নির্বাচনে একই আসন থেকে তিনি জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমেদের কাছে হেরে যান। ২০০৮ সাধারণ নির্বাচনে মোল্লা ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান এবং নির্বাচনে জয়ী হন।২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মো: ইসরাফিল আলম

নওগাঁ-৬ আসনের এই সংসদ সদস্য গত ২৭ জুলাই রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ৬ জুলাই ইসরাফিল আলমের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়, পরে ১৫ জুলাই তার করোনা নেগেটিভ আসে।

ডা. মোজাম্মেল হোসেন

বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বাগেরহাট- ৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মোজাম্মেল হোসেন। ১০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে রাত পৌনে ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

১৯৮১ সাল থেকে প্রবীন এই জননেতা প্রথমে তদানিন্তন বাগেরহাট মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি থেকে পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ডা. মোজাম্মেল হোসেন পাঁচ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিগত ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি সমাজকল্যাণ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তার হাত ধরেই দেশে চালু হয় মুক্তিযোদ্ধা- বয়স্ক ও বিধবা ভাতা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর