হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিজয়ের মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জের অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা নসিমুদ্দিন নসুর দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের বাগামারা গ্রামের দিনমজুর ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা নসিমুদ্দীন নসু। অসুস্থ থাকায় কয়েকদিন আগে থেকেই তার চোখে-মুখে হতাশার চিহ্ন দেখা গেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ইপহার পাওয়ায় পর আনন্দ তার চোখে-মুখে। রণাঙ্গনের সাহসী যোদ্ধা কখনই ভাবেননি শেষ বয়সে প্রধানমন্ত্রী তার দায়িত্ব নেবেন।
নসিমুদ্দিন নসু ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করলেও এখনও পাননি মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়। ঘুরেছেন বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে। হতাশ হয়ে মাটি কেটে ও ভিক্ষা করে ৩ ছেলে মেয়ের সংসার চালিয়েছেন তিনি। গেল কয়েকদিন আগে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে বিষয়টি। এরপর বিজয়ের মাসে মুক্তিযোদ্ধা নসুমুদ্দীন নসুকে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে উপহার ও টাকা পাঠানো হয়। এগুলো পেয়ে খুশি মুক্তিযোদ্ধা নসুমুদ্দীন নসু ও তার স্ত্রী।
মুক্তিযোদ্ধা নসিমুদ্দীন নসু বলেন, ‘আমি খুশি, আমি খুব আনন্দিত। শেখের বেটি শেষ বয়সে আমাকে সম্মান দিয়েছে। আমি যুদ্ধ করলেও মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় কপালে জোটেনি স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে। কোনো দিন পাইনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও। কোনো কিছু না পেয়ে মাটি কাটা ও ভিক্ষাবৃত্তি করেই সংসার চালিয়েছি। এখন আমি অসুস্থ। তবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সন্মান পেয়ে আজ আমি ভাল হয়ে গেছি।’
নসিমুদ্দীনের স্ত্রী বলেন, ‘আগে আমার স্বামী ভিক্ষা করে কষ্ট করেই সংসার চালাতেন। এতোদিন এতো কষ্টের মাঝেও কেউ আমার স্বামীকে দেখেনি। এখন শেখ হাসিনা আমার স্বামীর দায়িত্ব নিয়েছেন, এটা দেখে আমার ভাল লাগছে। এখন প্রধানমন্ত্রী আমার স্বামীকে দেখবেন।’
এলাকাবাসী ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসুস্থ অসহায় মুক্তিযোদ্ধা নসুর পাশের দাঁড়িয়ে আবার প্রমাণ করলেন বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা কখনই অসহায় থাকবেন না। এতে সর্বস্তরের মানুষ খুশি।
জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, প্রমানমন্ত্রীর বার্তা ছিলো দেশের কোথাও বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা অসহায় থাকবেন না। আর নসমুদ্দীনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসলে আমার মাধ্যমে নগদ একলাখ টাকা, পরিবারের সকলের পোশাক ও ফলমূল তুলে দেওয়া হয়। আর অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার জন্য প্রধানমন্ত্রী পক্ষ থেকে বাড়ি তৈরি ও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নামও উঠানোর আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।