অবশেষে ১০০ মিলিয়ন ডলারের মামলায় জয় হলো মাইকেল জ্যাকসনের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাইকেল জ্যাকসন। ভক্তরা ভালোবেসে তাকে ‘এমজে’ বলে ডাকেন। যিনি গান গেয়ে, নিজস্ব স্টাইলে নেচে বিশ্বব্যাপি আলোড়ন তৈরি করেছিলেন। তার গানে মাতোয়ারা হয়েছে কোটি কোটি মানুষ। ২০০৯ সালের ২৫ জুন তার মৃত্যু হয়। নিজ বাড়িতেই তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার সেই মৃত্যু নিয়ে আজও অনেক রহস্য খেলা করে ভক্তদের মনে।

প্রয়াত বিশ্বনন্দিত এই সংগীত তারকার বিরুদ্ধে জীবদ্দশায় একাধিকবার শিশু নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। সেই নির্যাতনের কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়েছে তার উপর নির্মিত ডকুমেন্টারি ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’- এ। এখানে দুই বালককে নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় মাইকেল জ্যাকসনের বিরুদ্ধে।

তাই এই ডকুমেন্টারির বিরুদ্ধে মাইকেল জ্যাকসনকে হেয় করার অভিযোগে ১০০ মিলিয়ন ডলারের মামলাও করা হয়েছে। মামলাটি করেছিলো এমজে’র প্রতিনিধি মাইকেল জ্যাকসন স্টেট। অবশেষে সেই মামলায় জয় পেয়েছে তারা। চলতি বছরেই করা এ মামলার বিবাদী এইচবিও নেটওয়ার্ক।

এইচবিও কর্তৃক নির্মিত ও প্রচারিত হওয়া ডকুমেন্টারি ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’র বিরুদ্ধে মামলাটিতে রায় দেয়া হয়েছে মাইকেল জ্যাকসনের পক্ষে। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) আপীলের ৯ম সার্কিট প্যানেলের তিন বিচারক নিম্ন আদালতের এই রায় বহল রাখার সিদ্ধান্ত নেন।

তাদের ভাষ্যমতে, আপীলটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। ১৯৯২ সালের জ্যাকসনের কনসার্ট নিয়ে তৈরি হওয়া সেই ডকুমেন্টারিতে নানাভাবেই পপস্টার মাইকেল জ্যাকসনকে হেয় করা হয়েছে। এটি ১৯৯২ সালের একটি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এখানে জ্যাকসনের মতো পাবলিক ইমেজকে নোংরাভাবে চিত্রায়ন করা হয়েছে।

তবে রায়ের পরে এইচবিও নেটওয়ার্কটির প্রতিনিধিত্বকারী অ্যাটর্নি থিওডোর বাউস্ট্রস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ হলো একটি ব্রিটিশ-আমেরিকান ডকুমেন্টারি ফিল্ম। এটি পরিচালনা করেছেন ব্রিটিশ চলচ্চিত্র নির্মাতা ড্যান রিড। ডকুমেন্টারিতে জ্যাকসনের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। আর তাই জ্যাকসনকে হেয় করার অভিযোগে ১০০ মিলিয়ন ডলারের মামলা করে জ্যাকসন স্টেট।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর