কটিয়াদীতে ট্রিপল মার্ডার, মাটিচাপা দেয়া লাশ উদ্ধার, আটক ৪

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হচ্ছে, মো. আসাদ মিয়া (৫০), তার স্ত্রী মোছা. পারভীন আক্তার (৪২) ও তাদের ছেলে লিয়ন (১১)।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) রাতে কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের জামষাইট গ্রামের বাড়ির পাশে মাটিচাপা দেয়া অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করেছে।

নিহতদের মধ্যে মো. আসাদ মিয়া জামষাইট গ্রামের মৃত মীর হোসেনের ছেলে। তিনি একজন মুদি দোকানী।

হোসেনপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোনাহর আলী জানান, ‘বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নিহত মো. আসাদ মিয়ার ছেলে কটিয়াদী থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ সন্ধ্যার পর জামষাইট গ্রামের বাড়িতে যায়।

বাড়ির পাশে নতুন মাটি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয় এবং মাটি সরিয়ে প্রথমে একজনের হাত দেখতে পায়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আসাদ মিয়া ঢাকায় থাকতেন। সম্প্রতি তিনি জামষাইট গ্রামের বাড়িতে ফিরে জামষাইট চৌরাস্তার মোড়ের তারা মার্কেটে প্লাষ্টিক পণ্য ও মুদি সামগ্রীর দোকান দেন।

তার তিন ছেলে। তাদের মধ্যে সবার বড় তোফাজ্জল ঢাকায় থাকে। ছোট দুই ছেলে মোফাজ্জল ও লিয়ন বাবা-মার সাথে বাড়িতে থাকতো।

বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাতে মোফাজ্জল বাড়িতে না থেকে অন্যত্র থাকায় ওই রাতে মো. আসাদ মিয়া, তার স্ত্রী মোছা. পারভীন আক্তার ও তাদের ছোট ছেলে লিয়ন এই তিনজন বাড়িতে ছিল।

কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল হওয়ার পর মো. আসাদ মিয়া, তার স্ত্রী মোছা. পারভীন আক্তার ও তাদের ছেলে লিয়ন এই তিনজনের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

অন্যত্র থাকা আসাদের মেজো ছেলে মোফাজ্জল (১৬) সকালে বাড়িতে এসে মা, বাবা ও ছোট ভাইকে না পেয়ে খুঁজাখুজি শুরু করে। কিন্তু তাদের কোন খোঁজ না পেয়ে সন্ধ্যার দিকে সে কটিয়াদী মডেল থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানায়।

এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), পিবিআই এর পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন পিপিএম সহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর