এবার ১০ হাজার কম্বল দিবে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীত আসন্ন। প্রতিবছর শীতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বল্প আয়ের মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। একটি কম্বল তাদের জন্যে হয়ে উঠতে পারে সুস্থ জীবনের অবলম্বন। এমন বিবেচনা থেকে সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে এবারও কম্বল বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।

ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতন বন্ধে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘কাপুরুষরাই নারী নির্যাতন করে’ এমন বার্তা নিয়ে এবারের শীতে সারাদেশের দরিদ্র মানুষের মাঝে ১০ হাজার কম্বল বিতরণ করবে ফাউন্ডেশনটি।

লক্ষ্য পূরণে প্রতিদিন কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা। শীতের আগেই সুবিধা বঞ্চিত মানুষের কাছে কম্বল পোঁছে দিতে চায় তারা। উপকূল ও চরাঞ্চলে কম্বল কিবতরণের জন্যে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সহযোগিতা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কেউ সেলাইয়ে ব্যস্ত, কেউ কম্বল ভাজ করছেন, আবার কেউ ব্যস্ত কম্বলগুলো প্যাকেটবন্দি করতে। অনেকেই স্বেচ্ছা শ্রম দিচ্ছেন এই প্রকল্পে। বিদ্যানন্দের মাধ্যেমে এমন মহৎ কাজের অংশিদার হতে পেরে নিজেদের ভালো লাগার কথা জানালেন অনেক কর্মী।

তারা বলেন, ‘গ্রামের অনেক মানুষ শীতের পোশাকের জন্য কষ্ট করে। কিন্তু আমাদের সেই সামর্থ্য নেই যে আমরা তাদেরকে শীতের কাপড় দান করবো। তাই কাজের মাধ্যমে তাদের সহযোগিতার করার চেষ্টা করছি। এতে অনেক আনন্দ পাই।’

কয়েকজন বলেন, ‘আমরা সেলাই করে দিচ্ছি, আরেকটা অসহায় মানুষ সে কাপড় পাচ্ছে এতেই আমাদের আনন্দ।’আবার অনেকে বলেন, ‘এ কাজ করে বেতন পাওয়ার পাশাপাশি মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি আমরা।’

বাসন্তি গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপক ও স্বেচ্ছাসেবক সুলতানা জান্নাত জানান, ‘কোথায় কোথায় শীতের প্রকোপ বেশি, কারা প্রকৃত ভুক্তভোগী, সবকিছু চিহ্নিত করে শীতের আগেই আমরা কম্বল পৌঁছে দেয়ার চিন্তা করছি।’

তিনি বলেন, ‘এই শীতে ১০ হাজরের বেশি কম্বল বিতরণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। ইতিমধ্যে বেশকিছু কম্বল বিতরণের জন্য কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

চলতি মাসের শুরু থেকেই কম্বল তৈরির কাজ শুরু করেছেন বাসন্তী গার্মেন্টসের কর্মীরা। প্রতিদিন ১৫ জন কর্মী তৈরি করছেন অন্তত ৫০০ কম্বল।

সুলতানা জান্নাত বলেন, ‘সরাসরি টেক্সটাইল থেকে কাপড় নিয়ে তারপর আমাদের কর্মী দিয়ে সেলাই করছি। যাতে আমাদের প্রোডাকশন খরচ সাশ্রয়ী হয়। এর মাধ্যমে প্রতি কম্বলে খরচ কম আসলে একজনের জায়গায় আমরা দুইজনকে দিতে পারবো।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর