দাঁত ক্ষয় রোধ ও মাড়ি মজবুত করে এই ফলটি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আতা ফল আমরা সবাই চিনি। এই ফল খেতে খুবই সুস্বাদু। শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও পরিপূর্ণ এই ফলটি। এতে রয়েছে পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম।

আতা ফলের বেশ কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে। সবগুলোকেই ইংরেজিতে কাস্টার্ড অ্যাপল, সুগার অ্যাপল, সুগার পাইনএপল বা সুইটসপ বলা হয়।

অঞ্চলভেদে নামের কিছু পার্থক্য রয়েছে আতা ফলে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান। তাছাড়া নানান রোগ প্রতিরোধে আতা বেশ উপকারী। চলুন জেনে নেয়া যাক আতা ফলে গুণাগুণ সম্পর্কে-

> আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তাহলে রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা কমাতে আতা ফল খাওয়া শুরু করুন। এছাড়াও, কাস্টার্ড আপেলের ডায়াবেটিস ফাইবারের উপস্থিতিতে চিনির শোষণ কমানো যায়।

> আতা ফলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম আপনার কার্ডিয়াক সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এতে থাকা ভিটামিন বি-৬ হোমোকিসস্টাইন নিয়ন্ত্রণ করে।

> আতা ফলের বীজ ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে। এই বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের গভীরে থাকা কোষের পুনঃবৃদ্ধি পায় এবং ক্ষত স্থানের ব্যথা তাৎক্ষণিকভাবে পালায়। এই বীজে এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রোপার্টি রয়েছে।

> ডায়াটেরি ফাইবার সমৃদ্ধ এই ফলটি খুব সহজেই হজম হয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আতা ফলের গুঁড়া এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে খেলে আপনার ডায়রিয়ার সমস্যাও মুহূর্তেই গায়েব হবে।

> আতা গাছের পাতার নির্যাস স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। স্তনের কোষে থাকা বিষাক্ত টক্সিন দূর করে। এছাড়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্টপূর্ণ আতা ফল আপনার শরীরের কোষগুলোকে বিভিন্ন ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে।

> বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে অন্তত একবার দাঁত পরিষ্কার করার জন্য আতা ফলের চামড়া ব্যবহার করে সুপারিশ করেন। এটি ব্যবহারের ফলে দাঁত ক্ষয় রোধ হয় এবং মাড়িকে আরো মজবুত করে।

> হাঁপানি রোগী হিসেবে যদি আপনি মূলার রস খেয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আতা ফলের রস খাবেন। এটি ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ যা আপনার হাঁপানি প্রতিরোধে সাহায্য করবে।

> গাইনোকোলজির মতে, গর্ভাবস্থায় আতা ফল খাওয়া গর্ভপাতের ঝুঁকি হ্রাস করে। সকালের দূর্বলতা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শারীরক ব্যথার উপশম ঘটায়।

> গর্ভাবস্থার পরে আতা ফল খাওয়ার ফলে স্তনে দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর