দুঃসময়ে মুক্ত করতে আইনি লড়াইয়ে এগিয়ে আসেন রফিক-উল হক : প্রধানমন্ত্রী

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুতে গভীর শোকও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বিপুল অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুতে দেশ একজন অভিজ্ঞ আইনবিদকে হারালো।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।শোক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সংবিধান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরামর্শ দিতেন।
শনিবার শোকবার্তায় শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাকে মিথ্যা মামলায় বন্দি করেন। সেই দুঃসময়ে ব্যারিস্টার রফিকুল হক তাকে  কারাগার থেকে মুক্ত করতে আইনি লড়াইয়ে এগিয়ে আসেন। শেখ হাসিনা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে সে কথা স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসস্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও খ্যাতিমান আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন করেছেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। খ্যাতিমান আইনজীবীর মৃত্যুতে তাদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে শোকবার্তা পাঠানো হয়।
বর্তমান সরকারে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা তাদের শোকবাণীতে বলা হয়, অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও খ্যাতিমান আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক। গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও আইনি বিষয় নিয়ে তিনি আদালতকে সবসময় সহযোগিতা করেছেন। সর্বজন শ্রদ্ধেয় এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যারিস্টার রফিক উল হক একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলেন। আইনের শাসন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তার অবদান অনস্বীকার্য। তার মৃত্যুতে দেশের আইন অঙ্গনে বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হলো। বাংলাদেশের আইন পেশায় তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ব্যারিস্টার রফিক উল হকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ, ক, ম, মোজাম্মেল হক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, , তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রোজউল করিম, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী,রেলপথ মন্ত্রী মো.নূরুল ইসলাম সুজন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয় মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এছাড়া , বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, গৃহায়ন ও গণপুর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মো এনামুর রহমান, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেল। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক উল হক গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান। তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
বিগত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে আইনি লড়াই করেন তিনি। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ভাবমূর্তি রক্ষায় বরাবরই সোচ্চার রফিক উল হক। দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ও আইনি বিষয় নিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করেছেন বর্ষীয়ান এই আইনজীবী।
১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাস্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রফিক উল হক। এসময়ে তিনি কোনও সম্মানী নেননি। পেশাগত জীবনে তিনি কখনও কোনও রাজনৈতিক দল করেননি। তবে নানা সময়ে রাজনীতিবিদরা সবসময় তাকে পাশে পেয়েছেন। ব্যারিস্টার রফিক উল হক তার জীবনের উপার্জিত অর্থের প্রায় সবই ব্যয় করেছেন দেশের মানুষের কল্যাণ ও সমাজসেবায়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর