করোনার দ্বিতীয় ঢেউ : শ্রীলঙ্কায় কারফিউ জারি

প্রথম ধাক্কা ভালো ভাবেই সামলে ছিল দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। ‘পার্ল অব ইন্ডিয়ান ওশান’ বা ‘ভারত মহাসাগরের মুক্তা’ নামে পরিচিত দেশটি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাক্কায় বিপর্যস্ত। পরিস্থিতি এতোটাই আশঙ্কাজনক যে, দেশের রাজধানীসহ বেশ কিছু জায়গায় কারফিউ জারি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকেই আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আসতে থাকে শ্রীলঙ্কার করোনা পরিস্থিতির খবরাখবর। পর্যটন ও সামুদ্রিক মৎস্যের উপর নির্ভরশীল দেশটিতে বিদেশি ভ্রমণকারীদের আসা-যাওয়া বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রধান প্রধান মাছের আড়ত ও বাজার।

এসোসিয়েট প্রেস (এপি) কর্তৃক প্রকাশিত একটি আলোকচিত্রে দেখা যায়, বিপদের চিহ্নবাহী টকটকে লাল পোষাকে আবৃত স্বাস্থ্যকর্মীরা নাগরিকদের করোনা পরীক্ষা করছেন। হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সার্ভিসকেও সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজধানী কলম্বো এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতা। সমুদ্র তীরবর্তী গ্রামগুলোতে বাইরের নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শহরের পাশাপাশি গ্রাম পর্যায়েও চলছে কঠোর লকডাউন। কারণ, এসব গ্রামে বহু মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

জেলেদের মধ্যে অর্ধ শতাধিক কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ পাইকারি মাছের বাজারগুলো পুরোপুরি বন্ধ করে কারফিউ’র আওতায় নিয়ে আসে বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সকাল থেকে। বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও ব্যাপক হারে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হচ্ছে। কমিউনিটি পর্যায়ে ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে বাজার বন্ধ করে কারফিউ দেওয়া সঙ্গে সঙ্গে নাগরিকদের বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে বারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুভাবের পর থেকেই শ্রীলঙ্কায় নানা ধরনের সামাজিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গৃহীত হয়ে আসছে। যে কারণে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যের সংখ্যা তুলনামূলক কম। করোনার সম্ভাব্য দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে কর্তৃপক্ষ আগেভাগেই লকডাউন ও কারফিউ জারির মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ, শহরে ও গ্রামে বেশ কিছু করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যাওয়ায় ভাইরাসটি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর