ন্যামে সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলমান মহামারি করোনাভাইরাসসহ (কোভিড-১৯) সমসাময়িক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ন্যামের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।

শুক্রবার ন্যামের সমন্বয় ব্যুরোর মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রদত্ত রেকর্ড করা বিবৃতিতে তিনি এ কথা উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং ১৯৭৩ সালের প্রথম দিকে বাংলাদেশকে এই আন্দোলনে যোগ দেয়ার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তখন থেকে বাংলাদেশ প্রবল সমর্থক হিসেবে রয়েছে ন্যামে।

বিশ্বের সাধারণ মানুষের মৌলিক আকাঙ্ক্ষা- ক্ষুধা ও রোগ থেকে মুক্ত থাকা, উপযুক্ত কর্মসংস্থান পেতে এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা অর্জন করা। তবে কোভিড -১৯ মহামারি এই আকাঙ্ক্ষাগুলোর কাছে মারাত্মক চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করেছে। এ সময়ে ন্যাম দেশগুলোকে অবশ্যই সম্পূর্ণ সংহতিতে কাজ করতে হবে এবং অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাদের সর্বোত্তম কর্মকাণ্ড, অভিজ্ঞতা, সংকট-পরিচালনা কৌশল, গবেষণা বিনিময় করতে হবে।

সাশ্রয়ী মূল্যে কোভিড-১৯ এর ওষুধ এবং ভ্যাকসিনের সুষ্ঠু ও সময়োপযোগী হওয়ার জন্য সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দরকার বলে তিনি জানান। তিনি বাংলাদেশে আশ্রয়প্রাপ্ত ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের ফেরাতে ন্যাম দেশগুলোর সমর্থন চান।

ড. মোমেন বলেন, কোভিড -১৯ সম্ভবত দারিদ্র্য, জলবায়ু পরিবর্তন, খরা, মরুভূমি, সহিংসতা, চরমপন্থা এবং সংঘাত সহ বিদ্যমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জকে আরো বাড়িয়ে তুলবে। মহামারি থেকে আরো ভালো করে গড়ে তোলার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নেতৃত্ব এবং অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্বের প্রয়োজন হবে। মহামারির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এবং আমাদের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে ন্যাম সদস্যদের অবশ্যই একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ, ন্যায়বিচার ও ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই আন্দোলনের অন্তর্নিহিত নীতি, আদর্শ ও উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত হতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর