হাওর বার্তা ডেস্কঃ কৃষি নির্ভর জেলা মেহেরপুরের চাষিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে বিভিন্ন ধরনের সবজি বীজের চাষ। অন্যান্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় এ চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে কৃষকেরা। বিভিন্ন সবজীর উচ্চ ফলনশীল ও উৎকৃষ্ট মানের বীজ তৈরি করছে মেহেরপুরের কৃষকেরা। আর বীজ চাষ লাভজনক হওয়ায় দিনে দিনে বীজের চাষে ঝুঁকছেন জেলার কৃষকেরা।
কয়েকটি বেসরকারি সবজি বীজ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে লাল শাক, পুঁই শাক, পালং শাক, কলমি শাক, শিম, টমেটো, বেগুন, লাউ, বরবটিসহ বিভিন্ন প্রকারের সবজির বীজ উৎপাদন করছে জেলার কয়েক হাজার চাষি। চুক্তি মোতাবেক উৎপাদিত বীজ কিনে নেয় কোম্পানিগুলো। চাষি খোলা বাজারেও বিক্রি করে। সবজি অনুযায়ী একর প্রতি ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ পায় কৃষকেরা। প্রতি মৌসুমে দুই থেকে তিনশ হেক্টর জমিতে বীজের চাষ হচ্ছে। কিন্তু চুক্তিবদ্ধ কৃষকদের বিক্রীত বীজের টাকা নিতে কোম্পানিগুলোর কাছে ঘুরতে হয় মাসের পর মাস। সময়মতো টাকা না পাওয়ায় কৃষকের কৃষিকাজ দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের সবজি বীজ উৎপাদনকারী কৃষক তহসেন আলী ও রফাত আলী বলেন, ধান,পাট,সরিষার আবাদ করে আর লাভবান হওয়া যাচ্ছে না। তাই বিভন্ন সবজির বীজ লাল শাক, পুই শাক, চিচিংগা সহ বিভিন্ন বীজের আবাদ করে লাভবান হচ্ছি। বিভিন্ন চাষের তুলোনায় বীজের চাষে লাভবান বেশি কিন্তু বিভিন্ন কোম্পানিগুলোর কারণে আর লাভবান হওয়া যাচ্ছে না। কারণ কোম্পানিগুলো বীজ নিয়ে মাসের পর মাস টাকা দিতে গিয়ে ঘুরায়। এক বিঘা লাল শাক করতে খরচ হয় ৪ হাজার টাকা সেখানে ৭-৮ মণ বীজ পায়। বিক্রি হয় ২২০০-২৩০০ টাকা মণ। পুঁই শাকে খরচ হয় ১০-১২ হাজার টাকা। বীজ বিক্রি হয় ৩০-৩৫ হাজার টাকা।
গেটকো এগ্রোভিশন লিমিটেডের ,মেহেরপুর জোনাল অফিস সুপারভাইজার আবদুস সুবহান বলেন, যে কোনো অবস্থাতে বীজ ৮০% জার্মিশন হতে হবে। আমাদের জার্মিশন এবং হেড অফিসের জার্মিশনের মধ্যে ওকে হলে আমরা সেই বীজটা নিই।
লাল তীর সীড লিমিটেডের মেহেরপুর রিজোনাল অফিসের প্রোডাকশন ম্যানেজার কৃষিবিদ মজিবুর রহমান খান বলেন, এই উৎপাদন খামারে ৩০০ জন চুক্তিবদ্ধ চাষি আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো চাষিরা অভিযোগ করেছে যে টাকা দিতে দেরি হয়। আসলে আমাদের চুক্তিতে আছে ব্যারাইটির ক্ষেত্রে তিন মাস এবং হাইব্রীডের ক্ষেত্রে রেজাল্ট হওয়ার এক বছর পর টাকা পরিশোধ করি।