ধর্ষণ মামলা আপস করার ক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের নেই

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ধর্ষণ মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থায় আপস করার ক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের নেই। বৃহস্পতিবার ভোলা জেলার এক শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির জামিন শুনানির সময় বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিন ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।

শুনানি শেষে বিচারাধীন মামলাটি আপস করায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ভোলা জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার জানান, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ফজলু দফাদার (৭২) সাত বছরের শিশু ধর্ষণের দায়ে কারাগারে আছেন। গত ১১ জানুয়ারি আসামি ফজলু দফাদার কারাগারে অসুস্থ উল্লেখ করে জিন্নাগড় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এ মামলার বাদী ও বিবাদীপক্ষ আপোস করে। এতে মামলার বাদী আলী আকবর ছাড়াও জিন্নাগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হোসেন মিয়া এবং তিন ইউপি সদস্যসহ ৬ জন উপস্থিত ছিলেন। আপোসনামায় তারা উল্লেখ করেন, আসামির বিরুদ্ধে বাদীপক্ষের কোনো অভিযোগ না থাকায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু মামলা নং ৪৬০/১৯ থেকে জামিন পেতে কোনো আপত্তি নেই।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই আপসনামা সংযুক্ত করে আসামি ফজলু দফাদার হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার আপসনামার বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষ থেকে হাইকোর্টের নজরে আনলে আদালত এমন মন্তব্যসহ আদেশ দেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর