হাওর বার্তা ডেস্কঃ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ ২০১৫’র পর থেকে বদলে যায় বাংলাদেশের ক্রিকেট। সে সময় থেকে ছোট দলের তকমাটা মুছে বড় দলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে ক্রিকেটে এক নতুন পরাশক্তি হয়ে উঠেছে টাইগাররা।
আরেকটি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের সাফল্যের পরিসংখ্যান স্বস্তি দিচ্ছে বাংলাদেশকে। ওয়ানডেতে বিশ্বকাপের দলগুলোর মধ্যে গত দেড় বছরে জয়ের হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। আগে রয়েছে কেবল ইংল্যান্ড ও ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার জয় বাংলাদেশের সমান হলেও উইকেট-প্রতি রান কম হওয়ায় তারা পিছিয়ে চতুর্থ হয়েছে। এতে অস্ট্রেলিয়া আছে অষ্টম স্থানে আর পাকিস্তান নবম। পাঁচ আর ছয়ে আছে যথাক্রমে আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থান সাত।
২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকেই বাংলাদেশ জয়ের অভ্যাসটা করে নিয়েছে। তার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ মোট ৭২ টি ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে জিতেছে ৪৪ টি, হেরেছে ২৫ টিতে আর ৩ টি ম্যাচের কোন ফলাফল হয়নি। টাইগারদের জয়ের গড় প্রায় ৬৪ শতাংশ। আর কেবল ২০১৮ থেকে হিসেব করলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ। আর সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান, উইন্ডিজ এবং শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডও পেছনে টাইগারদের।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৯ সালের মে মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত হিসেবটি। এ সময়ে বাংলাদেশ খেলেছে দুটি ত্রিদেশীয় সিরিজ আর এশিয়া কাপ। তিনটি টুর্নামেন্টেরই ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতেছে একটিতে। মাশরাফি বিন মুর্তজার অধীনে ২৭ ওয়ানডে খেলে বাংলাদেশের জয় ১৭ টিতে। হার দশটিতে। গত দেড় বছরে বছরে দুটি ত্রিদেশীয় সিরিজ আর এশিয়া কাপ ছাড়াও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ আর জিম্বাবুয়ে ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলেছে সাকিব-তামিমরা।