হাওর বার্তা ডেস্কঃ অনেক জল্পনা-কল্পনা ও নাটকীয়তার পর প্রকাশ্যে এসেছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জার্সি। সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের জার্সি পরিয়ে অফিশিয়াল ফটো সেশন করা হয়। তবে আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, এই ফটো সেশনে ছিলেন না বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক ও বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিব ছাড়া বিশ্বকাপ জার্সির ফটো সেশনে ছিলেন স্কোয়াডের বাকি ১৪ জন ক্রিকেটার।
এ ছাড়া ফটো সেশনে অংশ নেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বিসিবি পরিচালক ও কোচিং স্টাফরা। এই ঘটনায় দেশজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়।বিশ্বকাপ জার্সির ফটো সেশনে অংশ না নেওয়ায় সাকিবের মুণ্ডুপাত করছেন তার ভক্ত-সমর্থকরা। অনেকেই আবার তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তবে যাকে নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা, সেই সাকিব এখন পর্যন্ত মুখ খোলেননি। তবে চুপ করে থাকেননি সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে শিশির লেখেন, ‘সাকিব আল হাসানের ওপর সাংবাদিকদের এত ক্ষোভ কেন, সেটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমার মনে হয় এটা আমাদের দোষ, কারণ আমরা তাদেরকে ডিনারে বা লাঞ্চে আমন্ত্রণ জানিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলাপ করি না কিংবা তাদেরকে ভেতরের খবরটা জানতে দেই না। এই পর্যায়ে আসতে সাকিবকে কঠিন পরিশ্রম করতে হয়েছে। ছোটবেলায় বিকেএসপিতে থাকাকালীন ও (সাকিব) শুধু ক্রিকেট নিয়ে মনোনিবেশ করেছিল, মানুষের সহানুভূতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাটা শেখেনি। আমার মনে হয় এটাই তার শেখা উচিত ছিল! এ কারণেই সে হয়তো অতটা পজিটিভ মানুষ নয়।
যাহোক, সে কখনো নিজের ভালো কাজগুলো প্রকাশ করে না এবং অন্যের খুশির জন্য নিজের জীবন চালায় না।’বিশ্বকাপ জার্সির ফটো সেশনে সাকিবের না থাকার প্রসঙ্গ টেনে শিশির লিখেছেন, ‘এখন ব্যাপার হচ্ছে, সে কেন বিশ্বকাপের অফিশিয়াল ফটো সেশনে ছিল না? হ্যাঁ, সে এটা মিস করেছে কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু করেনি। তাকে যে বার্তাটি দেওয়া হয়, সে সেটা ভুলভাবে বুঝেছিল এবং পরবর্তীতে কর্মকর্তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে। দুঃখিত, এটা প্রমাণ করার জন্য কোনো ভিডিও নেই!এখানেই শেষ নয়। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত অনুষ্ঠানের এক হাত নিয়েছেন সাকিব-পত্নী।
তিনি বলেন, ‘আরেকটা কথা, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের অনুষ্ঠান “বিয়োন্ড দ্য গ্যালারি” অনুষ্ঠানে দুজন সাংবাদিক সাকিবের তীব্র সমালোচনা করছিল এবং তার সম্পর্কে অনেক আজেবাজে কথা বলছিল। একজন সাংবাদিক তো বললেন, “সাকিব নাকি এটা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য করেছে।” অরে ভাই, জনপ্রিয়তা সাকিব সবচেয়ে কম চায়। আমার মনে হয় ব্যাপারটা একটু ভিন্ন। আপনি তার সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলে জনপ্রিয়তা পেতে চাইছেন। কারণ এটাই ব্যবসার জন্য লাভজনক, এমনকি আপনার নিজের জন্যও। তার ব্যবহার সম্পর্কেও অনেক কথা হচ্ছে। দলের যে কাউকে তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করুন যে মাঠের ভেতরে এবং বাইরে ব্যক্তি হিসেবে সাকিব কেমন! বিশ্বকাপ সন্নিকটে, সাকিবকে তার মতো থাকতে দিন। আপনাদের তো কথা বলার মতো অনেক খোরাক আছে!’