আসেন চাকরি নিতে কত টাকা লাগে সেই খবর দেই

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একটি পঁচে যাওয়া সমাজে যারা ইউরোপের স্ট্যান্ডার্ডে পুলিশ চান তাদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। কারণ আমিও ছাত্র থাকা অবস্থায় পুলিশকে নানা অজুহাতে দোষারোপ করতাম। এতদিন যারা পুলিশ হতে চেয়েছেন তাদের জন্য সুখবর। বিস্তারিত পত্রিকার পাতায় খুঁজে নিবেন।

এখন আসেন চাকরি নিতে কত টাকা লাগে সেই খবর দেই। সার্জেন্ট/এসআই চাকরিতে গত পাঁচ বছর মনে হয়না কেউ টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে। কারণ যারা চাকরি দেন তারা কেউ এই টাকার গন্ধও পান না। তাই টাকা দিয়ে চাকরির চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে ভালো করে প্রিপারেশন নেন। কারণ এখন দেশের সব থেকে মেধাবীরা এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে কমেন্ট দেখলে মনে হবে টাকা ছাড়া বুঝি কোনো চাকরি হবেই না। কিন্তু যারা এই কমেন্ট করতেছে তাদের বেশিরভাগই চাকরি নেওয়ার না আছে শিক্ষাগত যোগ্যতা না আছে চাকরি হওয়ার যোগ্যতা। তাই এই সব লোকের কথায় কান না দিয়ে মন দিয়ে চাকরির জন্য দুইটা বই বেশি পড়েন। এদের মধ্যে আবার কিছু আছে দালাল শ্রেণীর।

তাহলে টাকা দিয়ে চাকরি হয় কিভাবে? মনে করেন যারা টাকা দিয়ে চাকরি দেওয়া কথা বলে আপনার নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় খোঁজ নিয়ে দেখেন সেই ব্যক্তি আপনার মতো আরো দশ জনের নিকট থেকে সেই ব্যক্তি টাকা নিয়েছে। এখন এই দশ জনের মধ্য থেকে যদি একজনের তার নিজের যোগ্যতা বলে চাকরি হয় তাহলে টাকাটা সেই ব্যক্তি ফাউফাউ পেয়ে যাবে। এই জন্য তারা চুক্তি করে চাকরি না হলে টাকা ফেরত। এই লোকদের একটা চ্যানেল কাজ করে।

যেমন-যদু মধু কদু এই তিনজন হলো একটি চক্র। যদু হলো এই চক্রের বস আর মধু কদু হলো লোক সংগ্রহ কারী। এরা খুঁজে বের করে কে কে ভালো ছাত্র কাদের টাকা আছে। এই দালালরা সারাদিন চাকরি প্রার্থীর কান পড়া দেওয়া যে টাকা ছাড়া চাকরি হয় না। এই কান পড়া মানুষকে কাপুরুষে পরিনত করে। যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিও মনে করে টাকা ছাড়া চাকরি হয় না।

যারা সততার কথা বলেন, পুলিশকে ঘুষখোর বলে গালি দেন। তারা পুলিশে আসেন। এসে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেন। তখন দেখা যাবে আপনি কতটা সৎ পথে আছেন। চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসেন।

লেখক-ফাহাদ মোহাম্মদ, ট্রাফিক সার্জেন্ট, বাংলাদেশ পুলিশ।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর