সিকৃবি ছাত্রকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে হত্যা, হেলপার ও চালক আটক

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুরে বাস থেকে ধাক্কাদিয়ে ফেলে দিলে সিকৃবি শিক্ষার্থী ওয়াসিম ঘটনাস্তলেই নিহত হয়েছেন। নিহতের ঘটনায় দায়ী বাসটির চালক কে ও হেল্পারকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে এই নেক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে। আটককৃত চালকের নাম জুয়েল আহমদ (২৬) তিনি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার বাড়াউরা গ্রামের মৃত আজিদ মিয়ার ছেলে।

বাসের হেল্পার মাসুক আলী (৩৭) সুনামগঞ্জ তেঘরিয়া এলাকার মৃত দৌলত মিয়ার ছেলে। সিলেট দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ গতকাল শনিবার রাত পৌণে ১১টার দিকে কদমতলী বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে গাড়ির চালক জুয়েল আহমদ (২৬) কে আটক করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার জেদান আল মুসা,এদিকে গতকাল রাতে সুনামগঞ্জ ছাতক উপজেলার সিংচাপর গ্রাম থেকে বাসের হেল্পার মাসুক আলী (৩০) কে ছাতক থানা পুলিশ আটক করে, মাসুক সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার তেঘরিয়া এলাকার মৃত দৌলত আলীর ছেলে।

পুলিশ সুত্র জানায়, গতকাল শনিবার সকালে ময়মনসিংহের সরিষাবাড়ী থেকে সিলেট গামী যাত্রীবাহী বাস উদার পবিরহন যোগে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ আউশকান্দি কিবরিয়া চত্বর থেকে শেরপুরে আসার সময় ভাড়ার টাকা নিয়ে হেলপার ও চালকের সাথে কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বাস চালকের নির্দেশে হেলপার শিক্ষার্থী ওয়াসিমসহ দুজনকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

এ সময় ওয়াসিম ঘটনাস্তলেই নিহত হন ওপর শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত শিক্ষার্থী কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সিলেটসহ সারাদেশে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের ঝড় উঠে। বিভিন্ন স্থানে বাসে আগুন দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো: বরকতুল্লাহ খান রাত সাড়ে ৩টায় তাৎক্ষনিকভাবে প্রেস ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘাতক হেলপার মাসুক আলীকে শ্বাসরুদ্ধকর দেড়ঘন্টা অভিযানের মাধ্যমে তার শ্বশুর বাড়ী ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় গ্রাম থেকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে বাসের সুপারভাইজারকে ঘটনার জন্য দায়ী করে। বাসের হেল্পার মাসুক আলী কে রাতেই মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: হায়াতুন নবী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ছাতক সার্কেল) মো: দুলন মিয়া, সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসি মো: শহিদুল্লাহ, ছাতক থানার ওসি মো: আতিকুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি কাজী মুক্তাদির হোসেন, সদর থানার ওসি তদন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন, ওসি অপারেশন মঞ্জুর মোরশেদসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর