তৃতীয় ধাপও অনেকটা একতরফা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আজ রোববার ২৫ জেলার ১১৭টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপও অনেকটা একতরফা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ৩৩টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ভোটের প্রয়োজন হচ্ছে না। আর চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান—এই তিন পদের কোনোটিতেই প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ৬টি উপজেলা পরিষদে ভোটই হচ্ছে না।

বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলো এবারের উপজেলা নির্বাচন বর্জন করায় ভোট নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম। প্রথম দুই ধাপের নির্বাচনে ৪০ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়েছে। তৃতীয় ধাপেও মূলত বেশির ভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দলের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী। অন্তত ৬৮টি উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আছেন ৯৯ জন।

এদিকে ভোটের আগে গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার কয়েকটি উপজেলায় হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন।

তৃতীয় ধাপে ১২৭টি উপজেলা পরিষদে ভোটের তফসিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আদালতের নির্দেশে কুতুবদিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলার ভোট স্থগিত করা হয়। নরসিংদী সদর ও কক্সবাজার সদর উপজেলার ভোট চতুর্থ ধাপে স্থানান্তর করে ইসি। আর তিন পদের কোনো পদেই প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ৬টি উপজেলা পরিষদে ভোট নিতে হচ্ছে না। ১১৭টি উপজেলার মধ্যে ৯টিতে ভাইস চেয়ারম্যান এবং ১৩টিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।

সব মিলিয়ে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৩৪০ জন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৫৮৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩৯৯ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৯ হাজার ২৯৮টি এবং ভোটার ১ কোটি ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫১ জন। গতকাল বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানান ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে রংপুর সদর, গোপালগঞ্জ সদর, মেহেরপুর সদর ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। যেখানে অনিয়ম বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা আছে, সেখানে অতিরিক্ত বিজিবি ও ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নয়জন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহার করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন ওসি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

হামলা-সংঘর্ষ
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং দলের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে শুক্রবার রাতে সংঘর্ষে ১০ থেকে ১২ জন আহত হন। এ সময় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের আসবাব ও একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।

এ ছাড়া গতকাল ভোরে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর