হাওর বার্তা ডেস্কঃ কিশোরগঞ্জে ট্যালেন্ট হান্ট কর্মসূচিতে অংশ নিল হাজারো তরুণ-তরুণী। প্রশিক্ষণ শেষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো ট্যালেন্ট হান্টিং কর্মসূচি। গতকাল মঙ্গলবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রশিক্ষণ নিতে আবেদনপত্র নিয়ে হাজির হন ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী সহস্রাধিক চাকরির প্রার্থী। সাক্ষাৎকার ও প্রাথমিক বাছাইয়ের পর প্রথম ধাপে সদর উপজেলা থেকে ৫০ জন প্রার্থীকে নির্বাচিত করা হয়। বেকার যুবক ও যুব নারীদের প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রাম ও বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) সহযোগিতায় ট্যালেন্ট হান্টিং কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহদী হাসান বলেন, যারা প্রথম ধাপে নির্বাচিত হতে পারেনি তাদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই। কেননা দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। সেই সব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পর্যায়ক্রমে আগ্রহীরা প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে।
প্রশিক্ষিতদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের আয়োজক বিটাকের সঙ্গে দেশের বড় বড় কোম্পানির চুক্তি রয়েছে। যারা দক্ষতার সঙ্গে প্রশিক্ষণ শেষ করবে তাদের ওই সব কোম্পানির শিল্প-কারখানাতে সঙ্গে সঙ্গে চাকরির সুযোগ হবে।
কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) মহাপরিচালক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মফিজুর রহমান। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন-বিটাকের পরিচালক ড. সৈয়দ মো. ইহসানুল করিম, কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহদী হাসান, একসেস টু ইনফরমেশন প্রোগ্রামের প্রতিনিধি মো. হাবিবুর রহমান ও বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. এনামুল হক।
কর্মকর্তারা জানান, প্রশিক্ষণের যাবতীয় খরচ সরকার বহন করবে। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বিভিন্ন কলকারখানায় চাকরির ব্যবস্থাও করা হবে। ১২টি ট্রেডের মধ্যে ৯টিতে মেয়েরা আর তিনটিতে ছেলেরা প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবে। ছেলেদের প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস আর মেয়েরা প্রশিক্ষণ নেবে তিন মাস।