হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, সরকারের সুষম আর্থ-সামাজিক নীতির ফলে জনগণের মাথাপিছু আয়, জিডিপি এবং রেমিট্যান্স ও রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। গত দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২২ শতাংশে কমিয়ে এনেছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করা সম্ভব হবে।
আজ মঙ্গলবার ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সের অংশগ্রহণকারীদের জন্য ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) আয়োজিত একটি বিশেষ সেশনে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। উলেখ্য, এনডিসি-২০১৯ কোর্সে ১৫টি দেশের ২৯ জন বিদেশীসহ ৮৪ জন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ও যুগ্মসচিব পদ মর্যাদার সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নিচ্ছেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান অন্যতম। উত্তরাধিকার কিংবা সমঝোতার সূত্রে নয়, বরং লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ সংবিধান। এ সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। দীর্ঘ ২৩ বছরের লড়াই সংগ্রামের ফসল এই সংবিধান। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর জাতিকে তিনি উপহার দিয়েছেন এ অনন্য সংবিধান।
স্পিকার বলেন, সংবিধানে মৌলিক নীতি সমূহ লিপিবদ্ধ থাকে। যা জনগণের বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখে। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ-নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগ। এ তিনটি অঙ্গ সংবিধান অনুযায়ী জনগণের স্বার্থেই কার্যাবলি সম্পাদন করে থাকে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ’ উলেখ করে তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের কার্যাবলির মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।