সমুদ্রপথে ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ভ্রমণের অংশ হিসেবে বিদেশিরা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারত থেকে সমুদ্রপথে আসা নানা দেশের ৬০ জন বিদেশি পর্যটক গত বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপ ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। সমুদ্রপথে ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ভ্রমণের অংশ হিসেবে বিদেশি পর্যটকদের দল ‘সিলভার ডিসকভার’ নামের প্রমোদতরিতে চড়ে এই সফর করে।

ভ্রমণের সময় মহেশখালীতে উপকূলীয় প্যারাবন, পাহাড়চূড়ার প্রাচীন আদিনাথ মন্দির, রাখাইনপল্লি ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত গান উপভোগ করে পর্যটক দল। বৃহস্পতিবার বিকেলে পর্যটকেরা তাঁদের জাহাজ নিয়ে মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুনের উদ্দেশে মহেশখালীর সোনাদিয়া উপকূল ত্যাগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ৫৩ জন ছাড়াও দলটিতে যুক্তরাজ্যের ২ জন, অস্ট্রেলিয়ার ২ জন, কানাডার ২ জন ও ফ্রান্সের ১ জন পর্যটক ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২২ জানুয়ারি ৬০ যাত্রী নিয়ে সিলভার ডিসকভার জাহাজটি ভারতের চেন্নাই থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা দেয়। ২৭ জানুয়ারি দুপুরে জাহাজটি বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায় পৌঁছায়। এরপর ২৭ থেকে ৩০ জানুয়ারি চার দিন বিদেশি পর্যটকেরা সুন্দরবন এলাকার মোংলা, হারবাড়িয়া, কোকিল মনির ও হিরণ পয়েন্টে ভ্রমণ করেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টায় জাহাজটি সুন্দরবন থেকে কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া সমুদ্র উপকূলে নোঙর করে।

পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে বিদেশি পর্যটকেরা প্রমোদতরি থেকে ছোট নৌযানে করে মহেশখালীর জেটিঘাটে পৌঁছান। সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে চড়ে তাঁরা যান ৩০০ ফুট উঁচু পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত আদিনাথ মন্দিরে। সেখান থেকে রাখাইন পল্লি, বৌদ্ধ মন্দির ও গোরকঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তাঁরা।

গোরকঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদেশি অতিথিদের গান শুনিয়ে স্বাগত জানায়। এরপর নৌযানে করে তাঁরা পুনরায় সোনাদিয়ার সমুদ্রে নোঙরে থাকা প্রমোদতরিতে ফিরে যান। বেলা সাড়ে তিনটায় পর্যটক নিয়ে জাহাজটি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ হয়ে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনের দিকে রওনা দেয়।

বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে ছিলেন জার্নি প্লাস নামের বাংলাদেশের বেসরকারি পর্যটন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী (সিইও) তৌফিক রহমান। তৌফিক রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বিদেশি পর্যটকেরা বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত, পাহাড়ঘেরা মহেশখালীর দ্বীপের ঐতিহ্য ও বিনোদন ক্ষেত্র দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। তাঁরা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ভ্রমণ শেষে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবেন।

সূত্র- প্রথম আলো

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর