সেতুটি দ্রুত অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মাণ অতি জরুরি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সদর উপজেলার কুরবাননগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ী বদিপুর গ্রামের ভেতরে থাকা পুরাতন সেতুটি এখন নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। যানবাহন বা মানুষজন চলাচল করলে সেতুটি কেঁপে উঠে। যে কোনো সময় সেতুটি ভেঙে পড়ার আশংকা বিদ্যমান। দুর্ঘটনা এড়াতে এই সেতু জরুরিভিত্তিতে অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পর মাইজবাড়ী বদিপুর গ্রামের ভেতরে নাইয়াদারা খালের উপর এই সেতু নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন ইউপি সদস্য তুরাব উল্লাহ’র তত্বাবধানে ঠিকাদার আব্দুল মতলিব সেতুটি নির্মাণ করেন। বর্তমানে সেতুটির উপর দিয়ে মানুষ বা যানবাহন চলাচল করলে মারাত্মকভাবে কম্পন শুরু হয়। সেতুর নিচের ১৫টি পিলারের মধ্যে ৬টি পিলার ক্ষয় হয়েছে এবং ঢালাই ভেঙে রড বেরিয়ে পড়েছে।

সেতুর উভয় দিকের রেলিং ভেঙে পড়েছে। সেতুর উপর ঝুলে আছে বিদ্যুতের মেইন লাইনের তার। সেতুর পশ্চিম পাশের রেলিংয়ে শিশুরা বসে গল্প-গুজব করলে মাথার কাছাকাছি বিদ্যুতের তার ঝুলে থাকে। যে কোনো সময় বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে।

বদিপুর গ্রামের রাগিব আলী, মিলন আহমদ, আফজাল হোসেন ও সজির আহমদ বলেন, ‘এই সেতুর উপর দিয়ে মানুষ চলাচল করলে বা মটরবাইক চলাচল করলে পুরো সেতু প্রকম্পিত হয়ে উঠে। শিশুরা খেলা করলে মাথার সামান্য উপরে বিদ্যুতের তার ঝুলে থাকে। এতে বড় রকমের দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।’

এলাকার প্রবীণ মুরব্বী ছাদ আলী ও আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘বদিপুর গ্রামের এই সেতুটি অনেক পুরাতন। মানুষ পায়ে হেঁটে গেলেও পুরো সেতু কেঁপে উঠে। আমাদের মনে হয় দ্রুত এই সেতুটি অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মাণ খুবই প্রয়োজন।’

ইউপি সদস্য নুরুল হক বলেন, ‘এই সেতু দিয়ে চলাচলের সময় মানুষ আতংকিত হয়। সেতুটিতে রেলিং নেই। চলাফেরা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মাণ করা জরুরি দরকার।’

কুরবাননগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবুল বরকত বলেন, ‘বদিপুর গ্রামের এই সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে আমি শুনেছি। সেতুটি দ্রুত অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মাণ অতি জরুরি।’

সদর উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাইজবাড়ি বদিপুর গ্রামের পুরাতন সেতুটি অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে সেতু ও উভয় পাশের সড়কের কাজ একই সাথে হবে।’

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর