আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে সিইসির নির্দেশ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভোট দিয়ে নিরাপদে যাতে বাড়ি ফিরতে পারে মানুষের মধ্যে সেই আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিংকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।

সিইসি বলেন, সেই অনাদিকাল থেকে বিচারকদের মানুষ শ্রদ্ধা করেন। কাজীর আমল থেকেই বিচারকরা যে সিদ্ধান্ত দিতেন সেটা মানুষ মান্য করতেন, এখনো করেন। নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত আশাবাদী, আপনারা যদি মাঠে থাকেন, আপনাদের পদচারণায় এই নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর হবে। মানুষের মধ্যে আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হবে। মানুষ যেনো ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন। সে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, এটা বলার এবং বোঝার অপেক্ষা রাখে না যে, নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, উত্তাপের এই পরিবেশ যেন উত্তপ্ত না হয়। উত্তপ্ত হয়ে নির্বাচনী পরিবেশ যেন ব্যাহত না হয়, ব্যাঘাত না ঘটে। সে কারণে এই আয়োজন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের কাজ শুধু ৩০ তারিখ। সেদিন ভোট হবে। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ করা, যেন কোনো সংঘাত না হয়, ভুল বোঝাবুঝি না হয়। সবাই যেন নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন, সেটা বুঝিয়ে দেওয়া। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, একটা সময় সাধারণ মানুষ ও বিচারকদের মধ্যে একটা অদৃশ্য কৃত্রিম দেয়াল ছিল। সেটি ক্রমেই সরে যাচ্ছে। আমি মনে করি, যারা বিচার করবেন এবং যাদের মধ্যে বিচার তাদের মধ্যে এত বড় দেয়াল থাকার প্রয়োজন ছিল না। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সেই দেয়াল আরো কিছুটা শিথিল হবে। মানুষের কাছাকাছি গিয়ে বুঝতে পারবেন তারা কি চায়। নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বপালনের ক্ষেত্র আরো প্রশস্ত হবে।

সিইসি বলেন, বিচারকদের মানুষের সঙ্গে মিশলে কোনো ক্ষতি নেই। মিক্সড আপ হবেন না। আপনার ব্যক্তিত্ব কতটা শক্তিশালী তার উপর নির্ভর করে আপনি প্রভাবিত হবেন কি হবেন না। আইন, বিবেক আছে, আপনাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, ব্যক্তিত্ব প্রয়োগ করে একটি সুন্দর ও সাবলীল নির্বাচন করতে পারবেন।

নুরুল হুদা বলেন, বিচারকরা বিচারক। কে সাদা, কে কালো, কে রঙিন সেটা বিচারকদের একেবারেই দেখার বিষয় নয়। বিচার কার্যটাকে সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করবেন এটাই আমাদের কামনা। বিচার করে একেবারে জেলে পাঠিয়ে দেবেন এটাও কাম্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করা। এর জন্য যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই প্রয়োগ করবেন।

নির্বাচনের পরের দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগের দিন ও নির্বাচনের দিন যতটা না সংঘাত হয়, তার থেকে বেশি সংঘাত হয় নির্বাচনের পরের দিন। অতিউৎসাহী লোক ও প্রতিহিংসা পরায়নের কারণে এসব হয়ে থাকে। ভোটের পরের দিন মিছিলের কারণে অনেকের মনে আঘাত লাগে, অনেকে কষ্ট পায়। এতে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট হয়। এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে, সজাগ থাকতে হবে। নির্বাচনী আইনে আছে নির্বাচনের পরের দিন কোনো শোডাউন হবে না। এটাকে কঠোরভাবে দেখতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর