নামিদামি স্কুলগুলোর ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করাটাই চ্যালেঞ্জ

শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোনো ভর্তি পরীক্ষা না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দেশের প্রতিটি এলাকার শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থানীয় স্কুলে ভর্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই নির্দেশ বাস্তবায়নে কতটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে?

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী মনে করেন, এই নির্দেশনা শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হবে। বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা আইন, শিশুনীতি, শিক্ষানীতি আছে তাই সহায়ক হবে বলে মনে হয়।

তবে নামিদামি স্কুলগুলোতে ভর্তির জন্য অভিভাবকদের প্রচেষ্টা, সেটা কীভাবে বন্ধ হবে সেটাই এখন চ্যালেঞ্জ, বলেন রাশেদা কে চৌধুরী।

তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিশুদের সমস্যা-ভর্তি পরীক্ষা না নিয়ে বাচ্চারা ভর্তি হবে কি হবে না সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। গ্রামের অনেক শিশু স্কুলেই আসে না যোগাযোগ সমস্যার কারণে- এদিকটাতে কাজ করতে হবে।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, অন্যদিকে অভিভাবকরা অবশ্যই চাইবেন সন্তানরা ভালো স্কুলে পড়ুক। সুতরাং প্রত্যেকটা স্কুলই যেন ভালো স্কুল হয়- সেদিকে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি রাখতে হবে।

তিনি বলেন, সব প্রথামিক বিদ্যালয়ে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলোতে প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি অবকাঠামো লাগবে, সবচেয়ে বড় বিষয় বিনিয়োগ লাগবে। বাংলাদেশে শিক্ষার জন্য বাজেট বরাদ্দ অপ্রতুল, মোট বাজেটের দশ শতাংশ।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে অনেক সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে। একেকটা ক্লাসরুমে একজন শিক্ষককে ৬০-৭০ জন শিক্ষার্থীকে দেখতে হয় যেটা সম্ভব নয়।

ভালো স্কুলগুলোতে ভর্তির জন্য যে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়- এটা বন্ধ করাটাও এখন চ্যালেঞ্জ। নির্দেশনা বাস্তবায়নে যে চ্যালেঞ্জগুলো রয়েছে সেগুলোতে কাজ করাটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ, বলেন রাশেদা কে চৌধুরী।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর