জঙ্গিদের টার্গেট ছিল চট্টগ্রাম আদালত ভবন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের ‘জঙ্গি আস্তানা’ থেকে দু’জনের ছিন্নভিন্ন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক শাফায়াত জামিল ফাহিম।

তিনি বলেন, ‘জঙ্গিরা চট্টগ্রামের আদালত ভবনে হামলার টার্গেট করে নগরীর অদূরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে জোরারগঞ্জের চৌধুরী ম্যানসন ভাড়া নিয়েছিলেন।’

এই র‍্যাব কর্মকর্তার ভাষ্যে, সোহেল নামে এক যুবক একতলা ভবনটির ৫টি কক্ষ ভাড়া নেন, চারজন থাকবেন জানিয়ে। বাড়ির মালিক মাজহার চৌধুরীকে তারা একজন নারী ও তিনজন পুরুষ থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, ‘গ্রেনেড বিস্ফোরণের কারণেই ওই দু’জনের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।’

শাফায়াত জামিল আরো বলেন, ‘বাড়ি থেকে ৫টি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি বাড়ির ভেতরে পাওয়া গেছে। আর একটি একে-২২ চাইনিজ রাইফেল ও ৩টি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে।’

এর আগে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ৩টা থেকে চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্বপার্শ্বের চৌধুরী ম্যানশন ঘিরে রাখে র‍্যাব। এরপর ভোরে অভিযান চালানো হয়।

ভোর চারটার দিকে র‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা ভেতর থেকে গুলি ছোড়ে। র‍্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে বাড়ির ভেতরে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়।

রাতেই বাড়ির মালিক মাজহার চৌধুরী এবং কেয়ারটেকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে র‍্যাব।

বাড়ির মালিকের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুই ব্যক্তি বাড়িটি ভাড়া নেন। তারা চট্টগ্রামের একটি রড নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন বলে পরিচয় দিয়েছেন।

এদিকে, জঙ্গি আস্তার খবর পেয়ে সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোরাগঞ্জের বাড়ির অদূরে উৎসুক জনতা ভিড় করেছেন। তবে তাদের বাড়ির কাছে ভিড়তে দিচ্ছে না র‍্যাব।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর