বদরগঞ্জে উপজেলার সাঁকো দিয়ে দুই ইউনিয়নবাসী পারাপার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বদরগঞ্জ উপজেলার কালুপাড়া ইউনিয়নে যমুনেশ্বরি নদীর কোল ঘেঁষা গ্রাম বড়াইবাড়ি। বদরগঞ্জ পৌরসভা থেকে এর দূরত্ব এক কি. মি মধ্যে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে নদীটি এতটাই ভয়াবহ রূপ ধারণ করে যে, বড়াইবাড়ি, জেলেপাড়া গ্রামসহ কুতুবপুর ইউনিয়নের সঙ্গে বদরগঞ্জ সদরের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কয়েক বছর আগে একমাত্র রাস্তাটি ভাঙতে ভাঙতে বিলীন হয়ে গ্রামের মাঝখানে গিয়ে ঠেকে।
শুধু তাই নয় বন্যার পানি প্লাবিত হয়ে গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রাস্তার নিচ দিয়ে বড় ধরনের সুড়ঙ্গ পথের সৃষ্টি হয়। এ কারণে এ অঞ্চলের মানুষরা বাধ্য হয়ে নিজেদের প্রয়োজনেই যাতায়াতের জন্য নির্মাণ করেন বাঁশের তৈরি সাঁকো। এই সাঁকো দিয়েই বড়াইবাড়ি জেলেপাড়াসহ কালুপাড়া ইউনিয়নের কিছু গ্রামের মানুষ এবং কুতুবপুর ইউনিয়নবাসী বদরগঞ্জ উপজেলা সদরে যাতায়াত করে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ঝুঁকি আরও বাড়ে বর্ষা মৌসুমে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভের শেষ নেই। তাদের প্রাণের দাবি নদীটিতে বাঁধসহ ব্রিজ নির্মাণের।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে ভ্যান নিয়ে যাচ্ছেন কুতুবপুর দলপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক ইসমাইল হোসেন আর অপর প্রান্তে অপেক্ষা করছেন কালুপাড়া ইউপির বাসিন্দা ও কুতুবপুর ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক তাজকুর রহমান। কারণ বাঁশের তৈরি সাঁকোটি দিয়ে দুইটি যানবাহন পারাপার সম্ভব নয়। এ কারণেই তার (প্রভাষক তাজকুরের) এই অপেক্ষা।
প্রভাষক তাজকুর রহমান জানান, মোটরসাইকেল নিয়ে এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে আমাকে প্রতিদিন কলেজে যেতে হয়। ভয় লাগে কখন স্লিপ কেটে নদীতে পড়ে যাই। দ্রুত বাঁধসহ এই ব্রিজটি নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
একই কথা বলেন কুতুবপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমান চাপুল শাহ্।
বদরগঞ্জ উপজেলার কালুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মানিক জানান, বাঁশের সাঁকোটির স্থলে ব্রিজ হওয়া জরুরি। ব্রিজটি নির্মাণ হলে দুই ইউনিয়নের মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্বতীপুর আতিকুর রহমান বলেন, আমি এখানে নতুন বদলি হয়ে এসেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর