ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে প্রশাসন।

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় উপাচার্য কার্যালয়সংলগ্ন অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনা সভা শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্ব করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (দুটি) নেতারা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।

ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতারা কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শুধু বাধ্যবাধকতা থেকে এটি করলে কোনো ফল হবে না বলে তারা বলেছেন।

গত ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলোর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো হয়। কর্তৃপক্ষ কতটি সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তা নির্দিষ্টভাবে বলেনি। তবে প্রক্টর বলেন, ক্রিয়াশীল সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান বলেন, আমরা ইতিবাচকভাবেই দেখছি, যদি আলোচনা সভা লোক দেখানোর জন্য না হয়। কর্তৃপক্ষ যদি শুধু প্রতিবেদনের জন্য এটা করে, তাহলে এটা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো উপকার হবে না। সহাবস্থানের মধ্যে ডাকসু কার্যকর হোক।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী বলেন, আমরা স্বাগত জানাই। তবে এটি যদি শুধু আদালতের বাধ্যবাধকতার জন্য করা হয়, তাহলে কোনো লাভ হবে না।

ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি জিলানী শুভ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এই উদ্যোগ আরো আগেই নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা সেটা দেরি করেছে। আমরা জানি না কী আলোচনা হবে কিংবা আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হবে। তবে আমরা চাইব, ডাকসু নির্বচনের জন্য প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় উপাচার্যসহ তিনজনকে গত ৪ সেপ্টেম্বর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশনার পরও ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়। এর পরই কর্তৃপক্ষ ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা আহ্বান করেছে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর