নিজের তিন আসনের দুটি ঘোষণা করলেন এরশাদ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী নির্বাচনে তিনটি আসন থেকে নির্বাচন করবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ। এরমধ্যে দুটি আসনের নামও ঘোষণা করলেন ক্ষমতাসীন দলের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। আসন দুটি হলো-ঢাকা ১৭ আর রংপুর সদর। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকায় রজনীগন্ধা সুপার মার্কেট চত্বর ও মানিকদী এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভায় এরশাদ নিজেই এ ঘোষণা দেন।

জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গিয়ে মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করবে দাবি করে এরশাদ বলেন, আমরা মানুষ খুন করিনি। আমাদের হাতে রক্তের দাগ নেই। তাই আল্লাহর রহমত আর সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় এখনো বেঁচে আছি। জাতীয় পার্টি এখন শক্তিশালী দল। আগামী নির্বাচনে আমরা ক্ষমতায় যেতে প্রস্তুত।

এসময় নিজে তিনটি আসনে নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। জানান, ঢাকা-১৭ এবং রংপুর সদর আসনে তিনি নির্বাচন করবেন। আর অপর আসনটি সম্পর্কে পরে জানাবেন।

এরশাদের এই ঘোষণার পর উপস্থিত জনতা করতালি দিয়ে সমর্থন জানায়।

এরশাদ বলেন, ঢাকা-১৭ আসন রাজধানীর অভিজাত এলাকা। এখনকার সর্বস্তেরের মানুষের কাছে জাতীয় পার্টির গ্রহণযোগ্যতা আছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে সাধারণ মানুষ আমাকে প্রায় দেড় লাখ ভোট বেশি দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। আবারো নির্বাচন করবো, দেশের মানুষকে গুম, খুন থেকে মুক্তি দেবো।’

খবরের পাতা খুললেই শুধু হত্যা আর রক্তের খবর দেখতে পান উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ‘সড়কে প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। কারো যেন কিছুই যায় আসে না। এভাবে চলতে পারে না, মানুষ পরিবর্তন চায়। আমরাই দেশের ভাগ্য বদলে দিতে পারবো।’

নির্বাচনে জিতে দেশে সুশাসন দেবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের ১০ হাজার মাইল পাকা রাস্তা আমি করেছিলাম। উন্নয়নের জন্য এলজিআরডি গঠন করেছিলাম। ৪৬০টি উপজেলা করেছি, ২১ জেলা থেকে ৬৪টি জেলা করেছি।’

‘আমরা যে উন্নয়ণ করেছি, আর কোনও সরকার করতে পারেনি। আমরা ছাড়া কেউ সুশাসন দিতে পারেনি। আবারো মানুষের সামনে এসেছি, আমরা বিজয়ী হয়ে দেশের মানুষকে মুক্তি দিতে চাই।’

খালেদা জিয়া বিনা বিচারে টানা ৬ বছর জেলে আটকে রেখেছিলেন মন্তব্য করে এরশাদ বলেন, ‘আমাকে অমানসিক নির্যাতন করেছে। বাংলাদেশে সবথেকে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছি আমি ও জাতীয় পার্টি।

‘জেলখানোয় চিকিৎসা দেয়া হয়নি, ঈদের নামাজ পড়তে দেয়া হয়নি। অথচ জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরে খালেদা জিয়াকে আমি বাড়ি দিয়েছিলাম, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ দিয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস খালেদা জিয়াই এখন কারাগারে আছেন।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এসময় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতী, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, আমানত হোসেন আমানত, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুল হক প্রমুখ।

সূত্রঃ ঢাকাটাইমস

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর