ভাগ্যের চাকা ঘুরছে না চাকার কারিগরদের

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এক সময় গ্রামের জনপ্রিয় বাহন গরুর গাড়ির চাকা তৈরির কারিগরদের এখন চলছে চরম দুর্দিন। কালের আর্বতে গ্রামে গরুর গাড়ির ব্যবহার কমে যাওয়ায় কাঠের চাকার চাহিদা নেই বললেই চলে। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছে চাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত শত শত কারিগর। নিকট অতীতেও গরুর গাড়ির চাকা তৈরি করে মোটামুটি স্বচ্ছলভাবে দিনযাপন করলেও বর্তমানে ভাগ্যের চাকা ঘুরছে না এ কারিগরদের।

বাধ্য হয়ে অনেকেই ছেড়ে দিচ্ছেন বাপ-দাদার এই পৈতৃক পেশা। নিতপুর বাজারের চাকার কারিগর আব্দুর রাজ্জাক জানান, তার দাদা ও বাবা ছিল চাকার কারিগর। তাদের কাছ থেকে চাকা তৈরি শিখে তিনি নিজেও এ পেশা আঁকড়ে বাঁচার চেষ্টা করেন। কয়েক বছর আগেও চাকার চাহিদা ভালো ছিল কিন্তু বর্তমানে চাহিদা একেবারেই কমে গেছে। কোনো কোনো মাসে এক জোড়া চাকা তৈরির অর্ডার পান না বলে জানান তিনি।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এক জোড়া চাকা তৈরি করতে চার হাজার টাকা খরচ হয়-সেই চাকা বিক্রি হয় সাত হাজার টাকায়। এ কারণে মাসে দুই-তিন জোড়া চাকার অর্ডার পেলেই এ পেশায় জীবনযাপন করা সম্ভব হবে। কিন্তু চাকার অর্ডার না থাকায় এ পেশায় আগের মতো আয় হচ্ছে না। এ পেশার আয় কমে যাওয়ায় আব্দুর রাজ্জাক নিজেও তার ছেলেকে এ পেশায় আনেননি, শিখিয়েছেন রাজমিস্ত্রির কাজ।

শুধু আব্দুর রাজ্জাকই নয় অনেক চাকার কারিগরই বাধ্য হয়ে পরিবারের সদস্যদের অন্য পেশায় নিয়োজিত করছেন। পার্শবর্তী চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলায় সব চাইতে বেশি পরিবার চাকা তৈরির সঙ্গে জড়িত ছিল। কাজ না থাকায় তারাও পেশা বদলে বাধ্য হচ্ছেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর