শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়ে কাঁদলেন ইলিয়াস কাঞ্চন

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক আন্দোলন নিয়ে আমি চিন্তিত। যা শুরু হয়েছে নোংরা রাজনীতি। যারা এ আন্দোলন নিয়ে ফায়দা লুটতে চান তা কতটা অমানবিক হতে পারে, তা আপনাদের অজানা নয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজনীতি করতে পারে, সেটা ভাবতেও ঘৃণা হয়। চারদিকে নানা গুজব ছড়ানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে সুযোগসন্ধানীরা। আমি তোমাদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত, আমি চিন্তিত চিন্তিত।’

কথাগুলো বললেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এ সময় বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন রুপালি পর্দার এ নায়ক। দেখা দেয় তার চোখে অশ্রু। তার কান্নায় উপস্থিত সবার চোখে পানি দেখা দেয়।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘ইতিমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী ঘরে ফিরেছে। কিছুসংখ্যক এখনো রাজপথে আছে। তোমাদের জীবন নিয়ে আমি শঙ্কিত। তোমাদের জীবনের জন্য তোমরা ঘরে ফিরে যাও।’ দাবি আদায় না হলে আবার রাস্তায় নামা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাই তারা এটিকে মানুষের প্রাণের দাবিতে রুপান্তর করেছে। এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করেছে, অবরোধ করেছে। চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে সড়কে কত নৈরাজ্য। কত বিশৃঙ্খলা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের টনক নড়েছে।

সোমবার মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হওয়া সড়ক পরিবহন আইনের খসড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, তাঁদের কোনো সুপারিশ আইনে যুক্ত করা হয়নি। সংসদে চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে তাঁদের সুপারিশ বিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। তাঁর মতে, ‘সড়ক পরিবহন আইন’ না করে ‘সড়ক পরিবহন ও সড়ক নিরাপত্তা আইন’ করা উচিত ছিল।

আইনে থাকা বিভিন্ন ধারা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর রাখা হয়েছে। অথচ সর্বনিম্ন শাস্তির বিধান রাখা হয়নি। আইনে বলা হয়েছে, হত্যা প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড। কিন্তু সেটা হবে তদন্ত সাপেক্ষে ৩০২ ধারায়। এতে সাধারণ লোকজন ন্যায্য বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারে।

তিনি মনে করেন, সব সময় চালককে দোষী ভাবা ঠিক নয়। দায়ী মালিক হতে পারে, পথচারীও হতে পারে। তাই আইনে ‘চালক’ শব্দটির পরিবর্তে ‘দায়ী ব্যক্তি’ ব্যবহার করা যেত। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মতো সড়ক পরিবহন আইনেও জামিন অযোগ্য বিধানটি রাখা যেত বলে মনে করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর