দৃকের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল ৫৭ ধারার মামলায় রিমান্ডে

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা ও আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে রমনা থানায় করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পরিদর্শক আরমান আলী আসামিকে সোমবার বিকালে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এ আসামি সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে উপস্থাপন করতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করে আসছে। তাই এ ঘটনার সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত আছে তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে আসামিকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

এসময় আসামির আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদন করেন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কড়া নিরাপত্তা ও পুলিশি পাহারার মধ্যে শহিদুলকে এজলাসের সামনে আনা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে শহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত শনি ও রবিবার জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলে কয়েকবার ফেইসবুক লাইভে আসেন তিনি। এছাড়া ওই আন্দোলনের বিষয়ে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনাও করেন। এ ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামি ‘কল্পনাপ্রসূত তথ্যের’ মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে ‘মিথ্যা প্রচার’ চালানো, উসকানিমূলক তথ্য উপস্থাপন, সরকারকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর’ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে উপস্থাপন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ‘অবনতি ঘটিয়ে’ জনমনে ‘ভীতি ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে’ দেওয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নে ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ‘অপপ্রচারের’ চালিয়েছেন।

বিডি প্রতিদিন

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর