কবে মুক্তি মিলবে খালেদা জিয়ার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আরো দু’টি মামলায় জামিন পেয়েছেন ৷ আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জামিনের মেয়াদ বেড়েছে ৷ তবে খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো আশা দেথছেন না তাঁর আইনজীবীরা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জমিনের মেয়াদ ৮ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট ৷ এই মামলায়ই পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয় তাঁকে ৷ মামলায় খালাস চেয়ে করা আপিলের শুনানি চলছে ৷ এদিকে ‘ভুয়া জন্মদিন পালন’ ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে ঢাকায় দায়ের করা মানহানির দুই মামলায় মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত ৷ মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস জামিনের আদেশ দেন ৷

খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘‘ম্যাডাম মঙ্গলবার যে দু’টি মামলায় জামিন পেয়েছেন তাতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাজির করা ছিল না ৷ আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার জামিনের মেয়াদ বেড়েছে আপিল শুনানির সময় বাড়ার কারণে ৷ কিন্তু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরো অন্ততঃ পাঁচটি মামলায় ওয়ারেন্ট আছে ৷ এরমধ্যে তিনটি মামলা কুমিল্লায়, নড়াইলে একটি এবং ঢাকায় একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে ৷ আর মামলা আছে অনেক ৷ কোনটায় কখন কী হয় বলা যায় না৷ কুমিল্লার দু’টি মামলার জামিন শুনানি এখন হাইকোর্টে চলছে ৷

বাস পোড়ানোর ঘটনায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি একটি এবং ৩ ফেব্রুয়ারি দুইটি মামলা দায়ের করা হয় ৷ এই তিনটি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে ৷ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন নড়াইলের আদালত ৷

নড়াইলের নড়াগাতী থানাধীন চাপাইল গ্রামের রায়হান ফরুকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল আদালতে এ মামলা করেন ৷

এছাড়া ঢাকায় আরেকটি মানহানির মামলায়ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে ৷

অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘‘মামলারতো আর অভাব নাই৷ কুমিল্লার দু’টি মামলার রুলের শুনানি চলছে ৷ আগস্টের ১৫ তারিখের পর বোঝা যাবে আসলে ঘটনা কোন দিকে যাবে৷ ওই সময়ের পর রুল নিষ্পত্তি হওয়ার কথা ৷”

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়েছে ৷ কিন্তু খালেদা জিয়ার নামে আরো ৩৪টি মামলা আছে ৷ এরমধ্যে ১৯টি মামলা বিচারাধীন, তদন্ত চলছে ১২টি মামলার এবং আদালতের নির্দেশে ৩টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত আছে ৷ বিচারাধীন ১৯টি মামলার মধ্যে ১৪টির বিচার কার্যক্রম রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশি বাজারের বিশেষ আদালতে পাঠানো হয়েছে ৷

খালেদা জিয়ার আরেকজন আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান ডয়চে ভেলেকে বলেন,‘‘আমরা প্রতিমূহূর্তেই আশা করি ম্যাডাম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন, আইনি লড়াইও চালাচ্ছি৷ কিন্তু সরকার যেভাবে আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করছে তাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে সরকার না চাইলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না ৷”

তিনি আরো বলেন, ‘‘সরকার মামলাগুলো ঝুলিয়ে রাখবে৷ জামিন হতেও সময় লাগবে ৷ তাই জামিন পেতে পেতে ম্যাডাম কবে মুক্তি পাবেন তা বলা সম্ভব নয় ৷”

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর